সৌদি আরব সাড়ে তিন বছর আগে আরোপ করা অবরোধ তুলে নিয়ে কাতারের সঙ্গে যোগাযোগ ফের চালু করতে রাজি হওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর মঙ্গলবার হামাদ আল থানি সম্মেলনে যোগ দিতে সৌদি শহর আল-উলায় পৌঁছান।
সেখানেই বিমানবন্দরে তাকে আলিঙ্গন করে সাদরে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন সৌদি যুবরাজ মোহম্মদ বিন সালমান। করোনাভাইরাসের কারণে দুইজনের মুখেই ছিল মাস্ক।
উপসাগরীয় অন্যান্য আরব দেশগুলোর নেতারাও সম্মেলনে যোগ দিতে সৌদি আরবে গেছেন। ৪১তম এই জিসিসি সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে আল-উলা শহরে।
কাতারের সঙ্গে দীর্ঘদিনের বিরোধ অবসানের বিষয়টি প্রাধান্য পাচ্ছে এবারের সম্মেলনে। তাই এ সম্মেলন সম্পর্ক মেরামতে এক নতুন অধ্যায় এবং উপসাগরীয় অঞলে সংকট অবসানের সূচনা করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে সন্ত্রাসে মদদের অভিযোগ এনে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক, বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করাসহ ভ্রমণও বন্ধ করেছিল সৌদি আরবসহ বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিশর। তবে সন্ত্রাসের অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে কাতার।
এবার সৌদি আরব জিসিসি সম্মেলনের আগে দিয়ে অবরোধ তুলে নিতে রাজি হওয়ায় একটি চুক্তির আওতায় কাতারের সঙ্গে বিমান, সমুদ্র ও স্থলপথে যোগাযোগ ফের চালু হবে।
চুক্তিটি আনুষ্ঠানিকভাবে সই হবে হোয়াইট হাউজের উর্ধ্বতন উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনারের উপস্থিতিতে। এক মার্কিন কর্মকর্তা একথা জানিয়েছেন।
ইরানকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে যুক্তরাষ্ট্র উপসাগরীয় দেশগুলোকে একাট্টা হতে চাপ দিচ্ছে।
মার্কিন ওই কর্মকর্তা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প কাতার-সৌদি বিরোধ নিষ্পত্তির দায়িত্ব দিয়েছিলেন কুশনারকে। তিনিই আলোচনা এবং ফোনকলের মাধ্যমে চুক্তি করতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করেছেন।
ইরানের বিরুদ্ধে একটি যৌথ ফ্রন্ট গড়ে তোলার যুক্তরাষ্ট্রের চেষ্টায় এরই মধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে কয়েকটি আরব দেশের শান্তিচুক্তির পর এর ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ অগ্রগতি হচ্ছে, এই কাতার-সৌদি সম্পর্ক পুনর্প্রতিষ্ঠা।
তবে সৌদি আরব অবরোধ তোলার বিষয়টি পরিষ্কার করে জানালেও বাকি তিন দেশ বাহরাইন, ইউএই এবং মিশর তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কিছু বলেনি। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের আশা, এই তিনদেশ জলদিই একই পথে হাঁটবে।
