জোহানেসবার্গে মঙ্গলবার সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট তিন দিনেই
জিতে নিয়েছে স্বাগতিকরা। কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬৭ রানের লক্ষ্য স্পর্শ করে তারা।
সেঞ্চুরিয়নে প্রথম টেস্টে ইনিংস ও ৪৫ রানে জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
জয়ের ভিত আগের দিনই গড়ে দিয়েছিলেন এনগিডি, নরকিয়া। পরদিন খুব একটা লড়াই করতে পারেনি
শ্রীলঙ্কা। ৪ উইকেটে ১৫০ রান নিয়ে দিন শুরু করে গুটিয়ে যায় ২১১ রানে। তৃতীয় দিনের
প্রথম সেশনও টিকতে পারেনি সফরকারীরা।
৯১ রান নিয়ে ব্যাটিং শুরু করা করুনারত্নে দিনের তৃতীয় ওভারে
নরকিয়াকে পরপর দুই বলে চার মেরে পৌঁছে যান কাঙ্ক্ষিত সেঞ্চুরিতে। শ্রীলঙ্কান
অধিনায়কের এটি দশম টেস্ট সেঞ্চুরি।
নিজের পরের ওভারে এসেই করুনারত্নেকে ফিরিয়ে দেন নরকিয়া। বাড়তি
লাফিয়ে ওঠা বল পুল করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে ধরা পড়েন তিনি। শেষ হয় ১২৮ বলে ১৯ চারে
গড়া ১০৩ রানের ইনিংস।
আগের দিন ১৮ রানে অপরাজিত থাকা নিরোশান ডিকভেলা ফিরে যান পরের
ওভারেই। এনগিডির বলে মারতে গিয়ে ৩৬ রানে ধরা পড়েন মিড-অফে।
দাসুন শানাকাকে দ্রুত ফেরান ভিয়ান মুল্ডার। শেষের তিন
ব্যাটসম্যানকে দাঁড়াতেই দেননি লুথো সিপামলা। ভানিদু হাসারাঙ্গা ও আসিথা
ফার্নান্দোকে বোল্ড করার মাঝে দুশমন্থ চামিরাকে কিপারের ক্যাচে পরিণত করেন এই
তরুণ।
প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নেওয়া নরকিয়া এ পর্বে নেন দুটি। এনগিডির
শিকার ৪ উইকেট।
ওয়ানডে ঘরানার ব্যাটিংয়ে বাকিটা সহজেই সারেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই
ওপেনার। আগের ইনিংসে সেঞ্চুরি করা ডিন এলগার অপরাজিত ছিলেন ৩১ রান নিয়ে। এইডেন
মারক্রাম মাঠ ছাড়েন ৩৬ রানে। ম্যাচ ও সিরিজ সেরার পুরস্কার জেতেন এলগার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ১৫৭
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ৩০২
শ্রীলঙ্কা ২য় ইনিংস: ৫৬.৫ ওভারে ২১১ (আগের দিন ১৫০/৪) (করুনারত্নে ১০৩, ডিকভেলা ৩৬, শানাকা ৮,
হাসারাঙ্গা ১৬, চামিরা ০, বিশ্ব ফার্নান্দো ১*, আসিথা ফার্নান্দো ০; এনগিডি ১৫-৫-৪৪-৪, নরকিয়া ১৯-২-৬৪-২, মুল্ডার ১৩-৩-৫২-১, সিপামলা ৯.৫-১-৪০-৩)
দক্ষিণ আফ্রিকা ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৬৭) ১৩.২ ওভারে ৬৭/০ (মারক্রাম ৩৬*, এলগার ৩১*; বিশ্ব ফার্নান্দো
৪-০-২৩-০, আসিথা ফার্নান্দো ৪-১-২০-০, হাসারাঙ্গা
২.২-০-১৬-০, শানাকা ৩-১-৮-০)
ফল: দক্ষিণ
আফ্রিকা ১০ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ:
দুই ম্যাচের সিরিজে ২-০ তে জয়ী দক্ষিণ আফ্রিকা।
ম্যান অব দা ম্যাচ: ডিন এলগার
ম্যান অব দা সিরিজ: ডিন এলগার।