বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বুধবার প্রথম সেমি-ফাইনালে চট্টগ্রাম আবাহনীকে ৩-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ফেডারেশন কাপের ফাইনালে ওঠে সাইফ স্পোর্টিং। ৭৬তম মিনিটে আল আমিনের চোট পাওয়ার ঘটনায় দলের উৎসব ফিকে হয়ে গেছে বলে জানালেন পুট।
“ওর পায়ের হাড় ভেঙে গেছে। মনে হচ্ছে এ মৌসুমে ও আর খেলতে পারবে না। জয়ের পর সবাই উৎসব করে, কিন্তু আমরা সেটা করতে পারিনি। কেননা, আমাদের একজন এখন হাসপাতালে।”
জয়ের আনন্দ অবশ্য আড়াল করেননি এই বেলজিয়ান কোচ। তারুণ্য নির্ভর দল সেমি-ফাইনালে পরিণত ফুটবল খেলেছে বলে মনে করেন তিনি।
“(আগের ম্যাচের পর) রিকভারির জন্য যে সময় প্রয়োজন, সেটা আমরা পাইনি। একারণে আমরা কিছু কৌশলগত বিষয় আজ প্রয়োগ করেছিলাম। তাতে ম্যাচটা বেশ সহজ হয়েছে আমাদের জন্য। ছেলেদের বলেছিলাম, যদি শুরুর সুযোগ কাজে লাগাতে পারি, পজিশন ধরে রাখতে পারি, তাহলে ভালো করব। ছেলেরা তাই করতে পেরেছে, আমি খুশি। আমাদের দলটা তারুণ্য নির্ভর, কিন্তু মাঠে তারা পরিণত ফুটবল খেলেছে।”
শুরুতে গোল খাওয়া আর বিদেশিদের কাছ থেকে প্রত্যাশিত সমর্থন না পাওয়াকে হারের কারণ হিসেবে দেখান চট্টগ্রাম আবাহনী কোচ মারুফুল হক।
“প্রথমবার ফাইনালে ওঠায় সাইফকে অভিনন্দন। আসলে আমার দলে সমস্যা হলো বিদেশিরা শেষ মুহূর্তে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। চিনেডু ম্যাথিউ কোভিড থেকে সেরে উঠে প্রথম ম্যাচ খেলছে। বিদেশিদের কাছ থেকে পুরো সমর্থনটা পাইনি।”
“আমরা যেভাবে শুরু করেছিলাম, ঠিক ছিল। এরপর শুরুতে একটা গোল খেয়ে গেলাম। ওদের কৌশল ছিল প্রতি-আক্রমণনির্ভর। ওরা সুযোগ কাজে লাগাতে পেরেছে। খেলোয়াড়দের জোনাল মার্কিংয়ের ব্যাপারে বারবার বলেছিলাম, কিন্তু ওরা সেটা করতে পারেনি। তারপরও সুযোগ পেয়েছিলাম, কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারিনি।”