বুধবার সচিবালয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে
চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর প্রকাশিত ‘সচিত্র বঙ্গবন্ধু’ অ্যালবামের মোড়ক
উন্মোচন করে এ কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের টানা এক যুগ
পূর্তিতে সফলতা কী-সেই প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত ১২ বছরে দেশের যেমন
উন্নয়ন-অগ্রগতি হয়েছে, তেমনি প্রতিটি মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে, দারিদ্র্য
কমেছে।
“বাংলাদেশে এখন ছেঁড়া কাপড় পরা মানুষ দেখা
যায় না। বাংলাদেশে এখন খালি পায়ে মানুষ দেখা যায় না। বাংলাদেশে এখন কবিতায়
কুঁড়ে ঘর আছে, আকাশ থেকেও সহজে কুঁড়ে ঘর দেখা যায় না।”
হাছানের ভাষ্য, “এই যে পরিবর্তন, এটি শেখ
হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কারণেই হয়েছে। ১২ বছর আগে আমরা বলতাম ক্ষুধামুক্ত এবং
দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণ করব। আমরা ক্ষুধাকে ইতিমধ্যেই জয় করতে সক্ষম
হয়েছি।
“বাংলাদেশে এখন মা আমাকে একটু বাসি ভাত দেন- সন্ধ্যার
পরে শহরের অলিতে-গলিতে কিংবা ভরদুপুরে গ্রাম-গ্রামান্তরে সেই ডাক শোনা যায় না।
কারণে বাসি ভাতের সমস্যা কিংবা অন্নের সমস্যার সমাধান বঙ্গবন্ধুকন্যা গত ১২ বছরে করতে
সক্ষম হয়েছেন।”
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ প্রায় খাদ্যে
স্বয়ংসম্পূর্ণ। এ বছর প্রাইসহাইক যাতে মুনাফালোভীরা করতে না পারে, সেজন্য চাল
আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে, চাল উৎপাদনে ঘাটতি হয়েছে সেজন্য নয়।
“আরও বড় অর্জন হচ্ছে বাংলাদেশ ছিল স্বল্পোন্নত
দেশ। সেই স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে।”
বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের উন্নয়নের চিত্র
বিস্তারিতভাবে তুলে ধরে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, “কিন্তু
দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের এই উন্নয়ন অগ্রগতি বিএনপিসহ তার মিত্ররা দেখতে পায় না।
“আমাদের ব্যর্থতা হচ্ছে, স্বাধীনতার ৫৯ বছর পরও
একটি বড় রাজনৈতিক দল যারা স্বাধীনতাটাই চায়নি তাদেরকে দিয়ে রাজনীতি করে, তাদের
নিয়ে রাজনীতি করে এবং এই স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি বাংলাদেশ থেকে নির্মূল হয়নি,
সেটি আমাদের ব্যর্থতা।”