বুধবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত
সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়।
কমিটির কার্যপত্র থেকে জানা যায়, গত ফেব্রুয়ারি মাসে সংসদীয়
কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। ওই বৈঠকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠিত ওয়াজ মাহফিলে
মাইকে লাউড স্পিকার ব্যবহারে যে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয় তা লাঘবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার
সুপারিশ করা হয়।
ওই সুপারিশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে মন্ত্রণালয় বুধবার
জানায় বিভাগীয় কমিশনারদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা উঠলে কমিটির সদস্য নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী
আপত্তি তোলেন। তিনি বলেন, শুধু ওয়াজের কথা বললে মানুষের মধ্যে বিরূপ ধারণা তৈরি হবে।
অন্যান্য ধর্মের অনুষ্ঠান, সামাজিক অনুষ্ঠানেও জোরে মাইক ব্যবহার করা হয়। তাতেও মানুষের
দুর্ভোগ হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নজিবুল বশর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে
বলেন, “শুধুমাত্র ওয়াজ মাহফিলে মাইক নিয়ে এ ধরনের সুপারিশে আমি আপত্তি জানিয়েছি। পরে
কমিটির বৈঠকে করোনা মহামারীর সময়ে লাউড স্পিকার ব্যবহার নিয়ে স্বাস্থ্য ও স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের সাথে বৈঠক করে সমন্বয় করার সুপারিশ করা হয়।”
বাংলাদেশে যত্রতত্র নানা অনুষ্ঠানে মাইক বাজানো হয়।
কমিটির আগামী বৈঠকেও এ নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানান তিনি।
সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে বলা হয়, “বৈঠকে
দেশের বিভিন্ন স্থানে করোনাকালীন সময়ে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সভা সমিতিতে
মাইকে লাউড স্পিকার ব্যবহারে যে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয় তা লাঘবে স্বাস্থ্য ও স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের সাথে বৈঠক করে সমন্বয় করার সুপারিশ করা হয়।”
বৈঠকে ২০২০-২১ অর্থবছরে সংসদ সদস্যদের নির্বাচনী এলাকায় মসজিদ
ও মন্দিরে বিতরণের জন্য ৫ লাখ টাকা বরাদ্দের সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সভাপতি মো. হাফেজ রুহুল আমীন মাদানীর সভাপতিত্বে বৈঠকে
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, শওকত হাচানুর রহমান (রিমন),
মনোরঞ্জন শীল গোপাল, মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী, মো. ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ, জিন্নাতুল
বাকিয়া ও তাহমিনা বেগম অংশ নেন।