সিটি করপোরেশনের ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী
লীগের সাধারণ সম্পাদক রজব আলী তালাইমারী এলাকা দিয়ে এই রাস্তা নির্মাণ করছেন।
রজব আলী বলেন, “হাই কোর্ট থেকে যেকোনো স্থান থেকে বালু তোলা ও
পরিবহনের আদেশ পেয়েছি। সেই আদেশ বলে তালাইমারি এলাকায় বালু উত্তোলন করে পরিবহনের
জন্য এই রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। এখানে কোনো অনিয়ম হচ্ছে না।”
মঙ্গলবার রাতে তিনি শ্রমিক দিয়ে এই রাস্তা নির্মাণ করান বলে
স্থানীয়রা জানান।
বুধবার দুপুরে গিয়ে দেখা গেছে, তালাইমারী ঘাট থেকে কিছুটা
দূরে পদ্মায় চর জেগেছে। ওই চরের দক্ষিণে নদীর মূলধারা প্রবাহিত। চরে ড্রেজিং করে
বালু মজুদ করা হচ্ছে। নদীর বাঁ তীর থেকে ওই চর পর্যন্ত ইট ও কংক্রিটের বর্জ্য ফেলে
রাস্তা বানানো হচ্ছে।
রাজশাহী পরিবেশ আন্দোলন ঐক্য পরিষদের উপদেষ্টা মাহফুজুর রহমান
বলেন, গত বছর একইভাবে নদী ভরাট করে রাস্তা করা হয়েছিল। ওই সময় পরিবেশবাদীরা
প্রতিবাদে সোচ্চার হন। এছাড়া স্থানীয় এক ব্যক্তির করা রিটের পর হাই কোর্টের
নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা প্রশাসন পদ্মার বুকে রাস্তা নির্মাণ বন্ধ করে দিয়েছিল। একই
সঙ্গে ইজারাদারকে রাস্তা অপসারণ করে নিতে বাধ্য করে। হাই কোর্টের সেই আদেশ এখনও বলবত
রয়েছে।
“এই রাস্তা হলে শহরের তীরঘেঁষে যে জলাধার আছে সেটি থাকবে না।
পুরোটায় চর পড়ে যাবে। এতে শহরের পরিবেশ হুমকির মুখে পড়বে। এছাড়া বিনোদনের জন্য
লোকজন আর পদ্মাপাড়ে যেতে পারবে না। ধুলোবালিতে ওই এলাকার পরিবেশ বসবাসের অনুপযোগী
হয়ে পড়বে।”