বুধবার তেজগাঁওয়ে এক
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন বার বার পরিষ্কার করবে, আর জনগণ নোংরা করবে- তা
হবে না।
“একটি সড়ক, ফুটপাত
উন্নয়ন করা বা একটি ড্রেন থেকে ময়লা পরিষ্কার করতে অনেক অর্থ, শ্রম দিতে হয়। কিন্তু
সেই রাস্তা, ফুটপাত দখলমুক্ত; নর্দমা পরিষ্কার না রাখলে এই পরিশ্রম বৃথা যায়।”
নগরবাসীর উদ্দেশে মেয়র
আতিক বলেন, “আপনাদের বলে যাচ্ছি, যে রাস্তা, যে খাল আমরা পরিষ্কার করে দেব, সেই খাল
এবং সেই রাস্তা যেন আপনারা তদারকি করেন। সেই অঙ্গীকার আপনাদের থেকে আমরা চাই। জনগণের
সাহায্য পেলে এটি একটি নন্দিত ঢাকা শহর হবে।”
তিনি বলেন, “আমরা চাই
ঢাকাকে একটি সুন্দর ঢাকায় রূপান্তর করতে। আমাদের অনেক সমস্যা আছে। কিছু সমস্যা মানুষের
তৈরি। আমরা দেখেছি কীভাবে রাস্তাগুলোকে দখল করে রাখে।”
তেজগাঁওয়ের কুনিপাড়ার
উত্তরা মোটরস থেকে রানার মোটরস পর্যন্ত ৬৫৬ মিটার সড়ক, পাইপ ড্রেন এবং ফুটপাতের উন্নয়নকাজ
শেষে সড়কটি উদ্বোধন করেন মেয়র। এ প্রকল্পে খরচ হয়েছে ২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
এ বিষয়ে মেয়র আতিক
বলেন, এক বছর আগেও এই সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা যেত না। সড়কের অবস্থা খারাপ ছিল।
“আমি নির্বাচনের সময়
বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছি, এখানেও এসেছিলাম। তখন এই এলাকার এই অবস্থা দেখেছি। সেই দুরাবস্থার
অবসান হল।”
রাজধানীর খাল পরিষ্কার
ও অবৈধ দখল উচ্ছেদ সম্পর্কে মেয়র বলেন, গত ১ জানুয়ারি খালগুলোর দায়িত্ব পাওয়ার পর কয়েকটি
খাল পরিদর্শন করেছেন। ৬০ ফুট প্রশস্ত ইব্রাহিমপুর খাল মেপে পাওয়া গেছে মাত্র ১০ ফুট।
“তাহলে বৃষ্টি হলে
পানি যাবে কোথায়? সেই পানি বিভিন্ন রাস্তায় চলে যাবে। কালশী খাল ও গোদাখালী খাল থেকে
২০০ ট্রাক ডাবের খোসা উদ্ধার করেছি। খাল থেকে জাজিম, ফ্রিজ, টেলিভিশনসহ সব কিছু পাওয়া
গেছে।”
এ সময় ডিএনসিসির প্রধান
নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম,
ওয়ার্ড কাউন্সিলর সফিউল্লাহ সফিসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।