দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে নিউ জিল্যান্ড নিশ্চিত করল শীর্ষে ওঠা। দ্বিতীয় টেস্টে বুধবার পাকিস্তানিদের ইনিংস ও ১৭৬ রানে উড়িয়ে দেয় কিউইরা।
এই নিয়ে টানা তিন সিরিজে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করল নিউ জিল্যান্ড। আগের দুই সিরিজে তারা পর্যদুস্ত করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ভারতকে।
দেশের মাটিতে সব মিলিয়ে ১৭ টেস্ট ধরে অপরাজিত তারা। সবশেষ হারটি ছিল ২০১৭ সালের মার্চে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।
পাকিস্তান সিরিজের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করার পরই অস্ট্রেলিয়ার সমান ১১৬ রেটিং পয়েন্ট হয়ে যায় নিউ জিল্যান্ডের। তবে তখনও অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে ছিল ভগ্নাংশের ব্যবধানে। এরপর পাকিস্তানকে প্রথম টেস্টে হারানোর পর কিউইদের রেটিং পয়েন্ট উঠে যায় অস্ট্রেলিয়ার ওপরে।
তবে দলীয় র্যাঙ্কিংয়ের ক্ষেত্রে আইসিসি হালনাগাদ করে থাকে একবারে সিরিজ শেষেই। আনুষ্ঠানিকভাবে এক নম্বর হতে তাই কিউইদের প্রয়োজন ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয়। দ্বিতীয় টেস্টে বড় জয় দিয়েই সেটি নিশ্চিত করল তারা। তাদের রেটিং পয়েন্ট এখন ১১৮।
২০১৭ সালের মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ হারার পর থেকে এ পর্যন্ত নিউ জিল্যান্ড দুটি সিরিজ জিতেছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশকে, শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে দেশের মাটিতে, সিরিজ ড্র করেছে শ্রীলঙ্কায় গিয়ে, পাকিস্তানকে এবার হোয়াইটওয়াশ করার আগে হারিয়ে এসেছে তাদের ‘হোম’ ভেনু সংযুক্ত আরব আমিরাতে, দেশের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ করেছে ভারতকে ও দুইবার হোয়াইটওয়াশ করেছে ক্যারিবিয়ানদের। এই সময়টায় তাদের একমাত্র সিরিজ হার ছিল ২০১৯-২০ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে তিন টেস্টের সবকটিতে হার।
সব মিলিয়ে দারুণ ধারাবাহিক সাফল্যেই শীর্ষে উঠেছে নিউ জিল্যান্ড। সিরিজ সেরা হয়ে এই সাফল্যে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন কেন উইলিয়ামসন। দলের মতো তিনি নিজেও দারুণ ধারাবাহিকতায় নিজেকে তুলে নিয়েছেন টেস্ট ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে।
চূড়া স্পর্শ করলেও কিউইদের উদযাপন ও উইলিয়ামসনের প্রতিক্রিয়া যথারীতি ছিল পরিমিত।
“ আমাদের টেস্ট গ্রীষ্ম দারুণভাবে শেষ করতে পারাটা গৌরবের এবং আমরা জানি যে স্পেশাল কিছু অর্জন করেছি আমরা।”
র্যাঙ্কিং শীর্ষে নিউ জিল্যান্ডের এই অবস্থান অবশ্য হতে পারে স্বল্পস্থায়ী। ভারতের বিপক্ষে চলতি সিরিজ জিতলে আবার শীর্ষে উঠে যাবে অস্ট্রেলিয়া।