ক্যাটাগরি

‘বাংলা কিউআর’ নীতিমালা জারি, দৈনিক লেনদেন ২০ হাজার টাকা

বাংলাদেশ
ব্যাংক অনুমোদিত ‘বাংলা কিউআর’ কোড ব্যবহার করে একজন ব্যক্তি দৈনিক ২০ হাজার টাকা
পর্যন্ত লেনদেন করতে পারবেন।

বাংলাদেশে
কিউআর কোডভিত্তিক লেনদেনের ক্ষেত্রে সবাইকে ‘বাংলা কিউআর’ নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে।

যেসব
প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে বিভিন্ন পক্রিয়ায় কিউআর কোডে লেনদেন চালু করেছে, তাদেরকে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে
‘বাংলা কিউআর’ এ আসতে বলা
হয়েছে নীতিমালায়।

স্মার্ট
ফোন হাতে হাতে পৌঁছে যাওয়ায় বহু আগেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কিউআর কোডের মাধ্যমে ডিজিটাল লেনদেন জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

বাংলাদেশেও
বিভিন্ন কোম্পানি পণ্য কেনাকাটায় কিউআর কোডের মাধ্যমে ডিজিটাল লেনদেনের ব্যবস্থা চালু করতে থাকায় ২০১৯ সালের মার্চে ‘ন্যাশনাল কিউআর কোড স্ট্যান্ডার্ড ফর রিটেইল পেমেন্টে
ইন বাংলাদেশ’ বা ‘বাংলা কিউআর স্ট্যান্ডার্ড’ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।


পদ্ধতিতে স্মার্টফোনের বারকোড স্ক্যানারের মাধ্যমে স্ক্যান করেই মোবাইল ব্যাংকিং বা ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ে
পণ্যের দাম পরিশোধ করা যায়। লেনদেন হয় নগদ টাকা
বা হাতের স্পর্শ ছাড়াই।

যে
কোনো ব্যাংকের অ্যাপ ব্যবহার করে বাংলা কিউআর কোড দিয়ে আর্থিক লেনদেন করা যায়। ফলে গ্রাহকদের বিভিন্ন পেমেন্ট নেটওয়ার্কের আলাদা কিউআর কোড ব্যবহার করতে হয় না।

এই
লেনদেন সহজ ও সাশ্রয়ী হওয়ায়
এর বহুল ব্যবহার ‘দেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিমূলক কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করবে’ বলে আশা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

‘বাংলা
কিউআর’ এর ব্যবহারবিধি, লেনদেন
নিষ্পত্তি, ফি ও চার্জ
নির্ধারণ করে দিয়ে নীতিমালায় বলা হয়েছে, এখন থেকে সকল ‘বাংলা কিউআর’ কোডভিত্তিক লেনদেনে এসব নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।

>> বাংলা
কিউআর কোড ব্যবহার করে যে টাকা দেবে
এবং যে টাকা পাবে-
সবার ক্ষেত্রে এই নীতিমালা প্রযোজ্য
হবে। যেসব প্রতিষ্ঠান নন ইএমভিসিও/প্রোপ্রাইটারি
স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ করে কিউআরভিত্তিক পরিশোধ সেবা চালু করেছে, তারা ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে
আগের কিউআরকে ‘বাংলা কিউআর’ দিয়ে প্রতিস্থাপন করবে।

>> ‘বাংলা
কিউআর’ ভিত্তিক আন্তঃপ্রাতিষ্ঠানিক লেনদেন দেশে কার্যরত সকল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সম্পন্ন করা যাবে।

>> ‘বাংলা
কিউআর’ ভিত্তিক লেনদেনের জন্য একক ব্যক্তিক হিসাবে দৈনিক লেনদেনের সীমা হবে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা।

>> ‘বাংলা
কিউআর’ ভিত্তিক লেনদেনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের ধার্য ফি ও চার্জ
প্রযোজ্য হবে।

>> ‘বাংলা
কিউআর’ এর প্রচার ও
প্রসারের লক্ষ্যে ব্যাংক/পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডর/পেমেন্ট সিস্টেমস্ অপারেটর/মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডার প্রতিষ্ঠানগুলো প্রয়োজনীয় গ্রাহক/মার্চেন্ট সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেবে।