দেশটির ন্যাশনাল ইনিস্টিটিউ অব হাই সিকিউরিটি অ্যানিমাল ডিজিজেস (এনআইএইচএসএডি) এ ইন্দোর ও মন্দসৌর থেকে আনা কিছু মৃত কাকের নমুনা পরীক্ষায় এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার ভাইরাস এইচ৫এন৮ এর উপস্থিতি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
পশুপালন বিভাগের কয়েকটি সূত্রের তথ্যের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলীয় কয়েকটি এলাকায় আকস্মিকভাবে প্রায় ৩৭৬টি কাকের মৃত্যু হয়েছে, এরমধ্যে ইন্দোরে ১৪২, মন্দসৌরে ১০০, আগার-মালওয়াতে ১১২, খারগোনে ১৩ ও সিহোরে ৯টি।
মৃত কাকের নমুনা এনআইএইচএসএডি-ভোপালে পাঠানো হচ্ছে। রাজস্থানের নিকটবর্তী ইন্দোর ও মন্দসৌরে মৃত কিছু কাকের নমুনায় এইচ৫এন৮ শনাক্ত হয়েছে।
ইন্দোরে একটি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করে র্যাপিড রেসপন্স টিমের মাধ্যমে কাকের আকস্মিক মৃত্যুর বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
মধ্যপ্রদেশের সব জেলার পশুপালন বিভাগের কর্মকর্তাদের কাকের আকস্মিক মৃত্যুর বিষয়ে রাজ্য সরকারকে তাৎক্ষণিকভাবে জানানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশপাশি জেলা প্রশাসন ও সম্পর্কিত অন্যান্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে কাকদের নিয়ন্ত্রণ ও অসুস্থ কাকদের পৃথক করার পদক্ষেপ নেওয়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পোল্ট্রি খামার, বাজার, পুকুর ও জলাশয়গুলো বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখার নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। হ্রদ ও জলাশয়গুলোতে আশ্রয় নেওয়া পরিযায়ী পাখির নমুনা দ্রুত পরীক্ষার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগকে পাখি পর্যবেক্ষণেরত ও মৃত কাকদের সরিয়ে নেওয়ার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের পিপিই কিটস্, রেট্রোভাইরাল বিরোধী ওষুধ, জীবাণুনাশক ইত্যাদি নিরাপত্তা সরঞ্জাম দেওয়াসহ সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইন্দোরে মৃত কাকগুলোর অন্তত দুটির নমুনায় এইচ৫এন৮ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্যস্ত থাকা শহরটির স্বাস্থ্য বিভাগ মৃত কাকগুলো যেসব এলাকায় পাওয়া গেছে সেখানে বাড়ি বাড়ি গিয়ে লোকজনকে পরীক্ষা করা শুরু করেছে।
বিভাগটির চিকিৎসক দল এ পর্যন্ত ১৪ হাজার লোককে পরীক্ষা করেছে। এদের মধ্যে ২০ জনের শরীরে সাধারণ সর্দি-কাশির লক্ষণ পাওয়া গেছে।