সদর উপজেলার বারাশিয়া গ্রামে বুধবার সকালে গিয়ে তারা বিভিন্ন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ শুরু করেন।
মাগুরার সিভিল সার্জন প্রদীপ কুমার সাহা বলেন, তদন্ত দলটির সদস্যরা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাগুরায় এসেছেন। তারা অন্তত তিন দিন থাকবেন। তদন্ত শেষ হলে তারা সিভিল সার্জনের দপ্তরে প্রতিবেদন দেবেন। সেই অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আইইডিসিআরের চিকিৎসক সোহেল রহমান সাত সদস্যের এই দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অফিসের নিষেধাজ্ঞার কারণে তারা কোনো মন্তব্য করতে পারবেন না বলে জানান।
প্রায় দুই মাস আগে বারাশিয়া গ্রামে বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে শতাধিক গরু অসুস্থ হয়। পরে ২৯টি গরু মারা যায়। প্রশাসন ১২ ডিসেম্বর বরাশিয়া গ্রামে একটি অবৈধ ব্যাটারি কারখানার সান্ধান পায়। যেখানে পুরাতন ব্যাটারি থেকে সিসা তৈরি করা হচ্ছিল।
জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা হাদিউজ্জামান বলেন, সিসা কারখানার নির্গত ধোঁয়া ও বিষক্রিয়ায় শতাধিক গরু অসুস্থ ও ২৯টি গরু মারা যায়। প্রশাসন অবৈধ ওই সিসা কারখানা বন্ধ করে দেয়। সিসার বিষক্রিয়ার বিষয়টি আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য ওই এলাকার খড়, ঘাস, ধান ও মাটির নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে দেখা যায়, স্বাভাবিকের চেয়ে প্রতিটি উপাদানে সিসার পরিমাণ কয়েক লক্ষ গুণ বেশি। পরে জেলা প্রশাসন সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে সভা করে সিসা কারখানার এক কিলোমিটার এলাকার মধ্যে উৎপাদিত কোনো খাদ্য গবাদিপশুকে না খাওয়াতে এবং এলাকার মানুষকে না খেতে আহ্বান জানায়। একই সঙ্গে গবাদিপশু ও মানুষের শরীরের কী পরিমাণ সিসা আছে তা পরীক্ষার জন্য জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ উদ্যোগ নেয়।