তবে সহজ বলে অবহেলা করা যাবে না মোটেও।
হৃদযন্ত্রের শক্তি বাড়ানো, মানসিক অবস্থার উন্নতি, আয়ু বৃদ্ধি ইত্যাদিসহ আরও অনেক উপকারী
দিক আছে এর।
তারপরও যদি হাঁটতে বের হওয়ার জন্য মনের
তাগিদের ঘাটতি পড়ে তবে সেটা পূরণের পন্থা খুঁজে বের করেছেন গবেষকরা। আর সেই উপায় হলো
‘ফিটনেস ট্র্যাকার’।
‘ব্রিটিশ জার্নাল অফ স্পোর্টস মেডিসিন’য়ে
প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়, ‘ফিটনেস ট্র্যাকার’ ব্যবহার করার সুবাদে প্রতিদিন একজন
ব্যক্তির ‘স্টেপ কাউন্ট’ গড়ে প্রায় ১,৮৫০ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাওয়া সম্ভব।
এই গবেষণার জন্য মোট ২৮টি পৃথক গবেষণা
থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সেই গবেষণাগুলোতে অংশগ্রহণকারীদের বয়স ছিল ১৮ থেকে ৬৫ বছর,
আর সব মিলিয়ে সংখ্যা ছিল প্রায় সাত হাজার।
গবেষণার উপসংহারে বলা হয়, বিভিন্ন ‘হেলথ’
ও ‘ফিটনেস ট্র্যাকার’য়ের বিভিন্ন ধাঁচের ‘রিডিং’ অংশগ্রহণকারীদের মাঝে বেশ কার্যকরভাবে
আরও বেশি হাঁটার অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করতে দেখা গেছে।
যারা এই ‘ডিভাইস’গুলো ব্যবহার করেননি
তাদের তুলনায় যারা ব্যবহার করেছেন তারা প্রতিদিন প্রায় এক মাইল বেশি দূরত্ব অতিক্রম
করেছেন।
এক মাইলে প্রায় দুই হাজার কদম, সেই হিসেব
মাসে শুধু ‘ফিটনেস ট্র্যাকার’ ব্যবহারের কারণে একজন ব্যক্তি এক মাসে প্রায় ২৮ মাইল
বেশি হেঁটেছেন।
কিছু ‘ফিটনেস ট্র্যাকার’ ‘টেক্সট মেসেজ’
বা ‘নোটিফিকেশন’য়ের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর জন্য বিশেষায়ীত ‘রিডিং’ দেয়। আর এই গবেষণা
বলে ওই ‘ফিচার’গুলো ব্যবহারকারীদের আরও বেশি উদ্বুদ্ধ করেছে।
প্রযুক্তি উন্নয়নের সঙ্গে তাল মেলাতে
অনেকেই শুধু হাল ফ্যাশন হিসেবেই বিভিন্ন ‘ফিটনেস ট্র্যাকার’ বা ‘স্মার্ট ওয়াচ’ কিনছেন।
এই ‘ডিভাইস’গুলোর যথার্থ ব্যবহার করলে শুধু ফ্যাশন নয়, শারীরিক সুস্থতাও অর্জন করা
সম্ভব।
আরও পড়ুন