বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করেনি চায়না কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন (সিসিএ)। তবে, প্রযুক্তি জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে বেইজিং সমলোচনা বাড়িয়েছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
সংস্থাটি বলছে, “ডেটা অ্যালগরিদমের মাধ্যমে গ্রাহককে চাপ দেওয়া হচ্ছে এবং তারা প্রযুক্তিগত হয়রানির শিকার হচ্ছেন।”
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানগুলোকে গ্রাহকের ব্যক্তিগত ডেটা স্ক্যানিং এবং সেগুলো ব্যবহার করে পণ্যের ভিন্ন ভিন্ন দাম দেখানো বন্ধ করতে হবে৷
গ্রাহকের ইন্টারনেট ব্যবহার এবং অন্যান্য ডেটা যাচাই করে অ্যালগরিদম এবং সেগুলোর ওপর ভিত্তি করে টার্গেটেড বিজ্ঞাপন এবং প্রচারণা চালানো হয়, এতে নিজের পছন্দ থেকে বঞ্চিত হন গ্রাহক৷
সংস্থাটির দাবি, এই স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় কিছু পণ্য এবং সেবার প্রচারণা চালানো হয়, যা “আইন, জনগণের অধিকার, ভালো চর্চা” অমান্য করে৷
“ভোক্তার মূল্যবোধ এবং নৈতিক ধারণা অ্যালগরিদমের মাধ্যমে অপব্যবহার হয় এবং প্ল্যাটফর্ম পরিচালকের খেলনা হয়ে ওঠে,” যোগ করেছে সিসিএ৷
ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানগুলোর একচেটিয়া আচরণ বন্ধ করতে ডিসেম্বরেই খসড়া আইন করেছে চীন, যা এই খাতের বিরুদ্ধে দেশটির প্রথম গুরুতর নীতিনির্ধারণী পদক্ষেপ৷