গ্রেপ্তার রহমত উল্লাহ
ভাষানটেকের মাটিকাটা এলাকায় দিনমজুরি করতেন। বুধবার রাতে তাকে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা
থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে ভাষানটেক থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন জানান।
রহমত ‘হত্যাকাণ্ডের
কথা স্বীকার করেছেন’ জানিয়ে তিনি বলেন, “এক থেকে দেড় বছর ধরে রহমত উল্লাহর সঙ্গে শাহ
আলমের পরিচয়। অর্থের লোভ দেখিয়ে শাহ আলম তাকে সমকামে জড়ায়। এ থেকে ক্ষিপ্ত হয়েই
সে শাহ আলমকে খুন করে বলে জানিয়েছে।”
গত ১ জানুয়ারি মিরপুরের
ভাষানটেক মাটিকাটা এলাকার একটি ভবনের পাঁচতলার চিলেকোঠার একটি কক্ষ থেকে শাহ আলমের
মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
তাকে ছুরিকাঘাত করে
হত্যা করা হয় বলে সে সময় জানিয়েছিলেন ওসি দেলোয়ার।
যেভাবে খুন করা হয়
জিজ্ঞাসাবাদে রহমত
উল্লাহর কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে ওসি দেলোয়ার হোসেন বলেন, রহমত উল্লাহ ৩০ ডিসেম্বর
রাতে শাহ আলমের বাসায় যান এবং দুজনে একসঙ্গে টিভি দেখতে থাকেন। এক সময় শাহ আলম ঘুমিয়ে
পড়েন।
“ভোর ৪টার দিকে রহমত
উল্লাহ রান্না ঘর থেবে চাকু নিয়ে ঘুমন্ত আলমের পিঠে আঘাত করে। তখন ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে
মাথায় আঘাত করলে শাহ আলম খাটের উপর পড়ে যায়। এরপর আলমের গলায় চাপ দিয়ে এবং পেটে ছুরি
মেরে তার মৃত্যু নিশ্চিত করার কথা জানায় রহমত উল্লাহ।
“হত্যাকাণ্ডের পর ছুরিটি
বিছানার নিচে লুকিয়ে রেখে বাথরুমে শরীরের রক্ত পরিষ্কার করে কক্ষের বাইরে তালা মেরে
সে পালিয়ে যায় বলে পুলিশকে জানিয়েছে।”
৩৯ বছর বয়সী শাহ আলম
অবিবাহিত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ত্রিশালে।