বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
উপলক্ষ্যে ঊনিশে মার্চ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস উদযাপন কমিটি এবং বাংলাদেশ সাংবাদিক
অধিকার ফোরামের আয়োজনে শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন মন্ত্রী।
মোজাম্মেল বলেন, “১৯ মার্চ পাকিস্তানের
বিরুদ্ধে অস্ত্র নিয়ে গুলি হয়েছে, এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে অতীতে কখনও ঘটেনি। ১৯ মার্চ
সশস্ত্র প্রতিরোধ শুরু হয়। ২৬ মার্চ থেকে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়। ১৯ মার্চ প্রথম
ও শেষ সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধ।
“সেজন্য এই দিবসটি পালন করার জন্য যারা
উদ্যোক্তা, উনারা যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন, আমি মনে করি এটা সময় উপযোগী এবং এটা স্বীকৃতির
দাবি রাখে।”
১৯ মার্চের প্রতিরোধ কীভাবে হয়েছিল,
তার আগে কি কি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল, সেসব ঘটনা অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন মুক্তিযুদ্ধ
বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল।
তিনি বলেন, “চাইনিজ রাইফেল নিয়ে পাকিস্তানিদের
বিরুদ্ধে পাল্টা গুলি করা হয়। …আমি মনে করি ১৯ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা
যুদ্ধের টার্নিং পয়েন্ট ছিল।
“আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও এই সশস্ত্র
গণবিদ্রোহের খবর প্রকাশিত হয়। কাজেই এটা নিঃসন্দেহে স্বাধীনতার গুরুত্বপূর্ণ টার্নিং
পয়েন্ট ছিল। এটা ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃতির দাবি রাখে। এই গৌরব কেবল গাজীপুরবাসীর জন্য
নয়, সমস্ত জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি সফলকাম
হোক।”
৮ মার্চ মুক্তি পাওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর
১০ মার্চ বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে স্বাধীনতা পরিপূর্ণতা লাভ করেছিল বলে মন্তব্য
করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী।
মন্ত্রী বক্তব্য দেওয়ার আগে বেশিরভাগ
বক্তা ১৯ মার্চকে প্রথম সশস্ত্র দিবস হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে
মন্ত্রীকে পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানান।
ঊনিশে মার্চ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ
দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক হাফিজা খাতুনের সভাপতিত্বে সভায় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী
মো. জাহিদ আহসান রাসেল, ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোহবান চৌধুরী, গাজীপুর মহানগর
আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আজমত উল্লাহ খান, সাংবাদিক নেতা আজিজুল ইসলাম ভুঁইয়া প্রমুখ
বক্তব্য রাখেন।