ইন্টারপোলের ঢাকা শাখার অনুরোধে শুক্রবার নোটিসটি জারি করা
হয় বলে পুলিশ সদর দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বাংলাদেশ পুলিশের ইন্টারপোল
শাখা যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় সকল তথ্য/ দলিল সহকারে ইন্টারপোল
সদর দপ্তরে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করার আবেদন করে। ইন্টারপোলের
একটি বিশেষ কমিটি আবেদনটি পর্যালোচনা শেষে অনুমোদন করেছে।“
ইন্টারপোলের কেন্দ্রীয় ওয়েবসাইটে প্রকাশের পাশাপাশি
সারা বিশ্বে বিভিন্ন দেশে ইন্টারপোলের শাখা সমূহেও প্রেরণ করা হয়েছে
উল্লেখ করে এই নোটিস আগামী পাঁচ বছর জারি থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা
হয়।
তবে, প্রয়োজনে আবেদনের প্রেক্ষিতে এর
মেয়াদ নবায়ন করা যাবে।
রেড নোটিসে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইন, ২০০৪ এর ২১(১)
ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩)
ধারায় দুর্নীতি দমন কমিশনের অভিযোগের কথা তুলে ধরা হয়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল লিজিং
অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেড (আইএলএফএসএল) ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক
ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ,
তিনি নানা কৌশলে নামে-বেনামে অসংখ্য কোম্পানি
খুলে শেয়ারবাজার থেকে বিপুল পরিমাণ শেয়ার কেনেন এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ও
পরে নিজের আত্মীয়, বন্ধু ও সাবেক সহকর্মীসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে পর্ষদে বসিয়ে অন্তত চারটি
ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নেন।
এই চার কোম্পানি হল-
ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (আইএলএফএসএল), পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং
বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি)।
এসব কোম্পানি থেকে তিনি ঋণের নামে
বিপুল অংকের টাকা সরিয়ে বিদেশে পাচার করেছেন বলে তদন্তকারীদের ভাষ্য।
এর মধ্যে আইএলএফএসএল গ্রাহকদের
অভিযোগের মুখে গত বছরের শুরুতে পি কে হালদারের বিদেশ পালানোর পর দুদক তার ৩০০ কোটি
টাকার ‘অবৈধ সম্পদের’ খবর দিয়ে মামলা করে।
বিদেশে থাকা পিকে হালদার গত ২৮
জুন আইএলএফএসএলের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে তার দেশে ফেরার জন্য
ব্যবস্থা নিতে আবেদন করেন।
আদালত তাতে অনুমতি দিলেও পিকে
হালদার না ফেরায় ইন্টারপোলের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা
হয়।