শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির
রিজভী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল সরকারের মেয়াদে যুগপূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নির্জলা মিথ্যাচার করেছেন। তার এই বিভ্রান্তিকর ও দুরভিসন্ধিমূলক ভাষণ অন্তঃসারশূণ্য কথামালার ফুলঝুরি ছাড়া আর কিছুই নয়।”
২০০৮ সালের নির্বাচনে জিতে
ক্ষমতায় আসার পর গত ১২ বছর ধরে টানা তিন মেয়াদে দেশ শাসন করছে আওয়ামী লীগ। সরকারের
বর্তমান মেয়াদের দুই বছর পূর্তিতে বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী।
এর ওপর প্রতিক্রিয়া জানাতে
আয়োজিত বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, “আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, প্রধানমন্ত্রী দেশের তথাকথিত উন্নয়ন, মানুষের জীবনমান বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক অগ্রগতি, স্বাস্থ্য খাতের ইতিবাচক পরিবর্তন, আইনের শাসন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থানসহ যেসব বক্তব্য দিয়েছেন তা মিথ্যাচারের কালো দলিল। দেশবাসী তার এই ভাষণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছে।”
আওয়ামী লীগের সময়ে বাংলাদেশ
‘দুর্নীতিবাজদের অভ্যারণ্যে’ পরিণত হয়েছে
বলে অভিযোগ করেন এই বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, “আমরা বলতে চাই, যারা গণতন্ত্র হরণ করে, মানুষের বাক স্বাধীনতা ও ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে কথিত উন্নয়নের একযুগ পূর্তি করতে চান, সেদিন আর বেশি দূরে নয়, স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের মত তাদেরও পতন হবে।”
রিজভী বলেন, “মাত্র কয়েকদিনে মোটা চালের কেজি ৭/৮ টাকা বেড়েছে, মুসুরের ডাল কেজি প্রতি বৃদ্ধি পেয়েছে ২০ টাকা- এই ডাল নিম্ন আয়ের মানুষ বেশি কেনে। খোলা সোয়াবিন ও পাম অয়েল কেজি প্রতি ১৫/২০ টাকা বেড়েছে। সাধারণ মানুষকে পেটে পাথর বাঁধতে হচ্ছে। আর প্রধানমন্ত্রী নিরাপদ জোনে থেকে উন্নয়নের গল্প শোনাচ্ছেন।”
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিবের ভাষায়,
“মেগা প্রকল্পের কয়েকটি কুমির ছানা যুগব্যাপী দেখিয়ে আর ক্ষমতার নিয়ামক শক্তিগুলোকে অবাধ সুযোগ সুবিধায় তুষ্ট করে তিনটি ভুয়া জাতীয় নির্বাচন পার করার মধ্যে তারা তাদের সাফল্য খুঁজছে।”
করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে সরকার ‘টালবাহানা’ করছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, “করোনা টিকা নিয়ে আওয়ামী লীগের মাস্টার প্ল্যান জনগণের কাছে পানির মতো পরিষ্বার। সরকারের নানা লোকের মুখ থেকে নানা রকম গালগল্প শুনছি- এটা জনগণের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে যে এটা একটা টালবাহানা।”
নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক মামুন আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, জাসাসের হেলাল খান, জাকির হোসেন রোকন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।”