অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর
রহমান বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “আজ রাতে ইমার্জেন্সি ইউজের অথরাইজেশন
দেওয়া হয়েছে। এখন টিকা আসলে তা ব্যবহার করা যাবে।”
কোভিড-১৯ মহামারী শুরুর বছর গড়ানোর পর আশা হয়ে এসেছে
টিকা। সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত কোভিশিল্ড টিকার তিন কোটি ডোজ কিনতে দুই মাস আগেই
চুক্তি করে বাংলাদেশ।
গত ৪ জানুয়ারি সেই টিকা অনুমোদনের খবর দেওয়া হয়েছিল
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে।
এ বিষয়ে মেজর জেনারেল মাহবুবুর বলেন, “এর আগে দেওয়া হয়েছিল
অনাপত্তিপত্র। মানে ওই এনওসি দিয়ে টিকা আমদানি করতে পারবে। ভ্যাকসিনটা আসতে যেন কোনো
সময় না নেয়, সে জন্য আমরা এনওসি দিয়েছিলাম।
“কিন্তু এই (বৃহস্পতিবার দেওয়া) অনুমোদনের পর টিকাটি
মানুষের জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবে।”
বাংলাদেশে এটাই করোনাভাইরাসের কোনো টিকা ব্যবহারের
অনুমোদন পেল।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ১৪ সদস্যের
পাবলিক হেলথ ইমার্জেন্সি কমিটির সুপারিশের পর এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
“টিকাটি কোথায় তৈরি হয়েছে, কোন কোন দেশ অনুমোদন
দিয়েছে, এই টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সব তথ্য কমিটি বিশ্লেষণ করেছে। বিষয়গুলো
নিয়ে আলোচনা করেছে। আলোচনা হয়েছে যে আমরা রেজিস্ট্রেশন দেব, নাকি ইমার্জেন্সি
অথরাইজেশন দিব। সবকিছু বিবেচনা করে জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা নেই, অনুমতির অপেক্ষা: বিবিসিকে সেরাম ইন্সটিটিউট
টিকায় প্রতিবেশীরাও অগ্রাধিকার পাবে: দোরাইস্বামী
টিকা নিয়ে উদ্বেগজনক অবস্থায় আছি: জি এম কাদের
সেরামের এই তিন কোটি ডোজ টিকা বিনামূল্যে দেওয়া হবে
বলে ইতোমধ্যে সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
তাদের সঙ্গে সরকারের করা চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে
টিকার ৫০ লাখ ডোজ পাওয়ার কথা বাংলাদেশের।
ওই তিন কোটি ডোজ টিকার জন্য অগ্রিম হিসেবে ৬০০ কোটি
টাকা পাঠানোর প্রক্রিয়াও ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক
জানিয়েছেন।
বাংলাদেশে সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত ভ্যাকসিনের ‘এক্সক্লুসিভ
ডিস্ট্রিবিউটর’ বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস বলে আসছে, চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশে
এই টিকা অনুমোদন পাওয়ার এক মাসের মধ্যে সেরাম ইনস্টিটিউটের টিকার প্রথম চালান
পাঠানোর কথা।
টিকা আমদানির অনুমতির জন্য প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র গত
সপ্তাহেই ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে জমা দিয়েছিল বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। এরপর
সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন চাওয়া হয়।
টিকা উৎপাদনকারী সেরাম ইনস্টিটিউট অভ্যন্তরীণ চাহিদা
মেটানোর পর রপ্তানিতে যাবে বলে সম্প্রতি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর অনিশ্চয়তা দেখা
দিলেও ভারতের পক্ষ থেকে যথাসময়ে বাংলাদেশকে টিকা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে।