বিবিসি’র প্রতিবেদন বলছে, এনক্রিপটেড মেসেজিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে পপ-আপ বার্তা দিয়ে সতর্ক করে ব্যবহারকারীদের বলা হচ্ছে, “হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে হলে এই আপডেটগুলো মেনে নিতেই হবে।”
অন্যদিকে হোয়াটসঅ্যাপের মালিক প্রতিষ্ঠান ফেইসবুক বলছে, ইউরোপ আর যুক্তরাজ্যের ব্যবহারকারীরা এই পরিবর্তন দেখতে পাবে না। তবে, তাদেরকেও এই নতুন শর্ত মেনে নিতে হবে।
হোয়াটসঅ্যাপের এই শর্ত খোলাখুলিভাবে প্রকাশ করার পদক্ষেপকে ইইউ গোপনতা নীতিনির্ধারকদের জয় হিসেব স্বাগত জানিয়েছেন অনেকে।
ওই দুই অঞ্চলেই নতুন এই পরিবর্তন মেনে নেওয়ার শেষ সময়সীমা হচ্ছে ৮ ফেব্রুয়ারি। এরপর থেকে “আপনাকে (ব্যবহারকারী) হোয়াটসঅ্যপ ব্যবহারে এই আপডেটগুলো মেনে নিতে হবে”, পপ-আপ বার্তায় এমনভাবেই সতর্ক করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
কোনো পরিবর্তন আসার পর প্রথম ৩০ দিন ব্যবহারকারীরা তাদের ব্যক্তিগত তথ্য ফেইসবুকের সঙ্গে শেয়ার না করার অপশন ছিল আন্তর্জাতিক গোপনতা নীতিমালায়। এই ধারা এখন তুলে নেওয়া হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপের নতুন সতর্কবার্তায় ব্যবহারকারীদেকে অনলাইন সহায়তা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, যেখানে “আপনি যদি আপনার অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলতে চান” এমন অপশন দেওয়া হয়েছে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক মাধ্যমটির অধীনস্থ এই চ্যাটিং প্ল্যাটফর্মের এমন নীতিতে বিরক্ত হয়েছেন অনলাইন জগতের অনেকেই।
টেসলা ও স্পেসএক্স প্রধান ইলন মাস্ক এই পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়া হিসেবে ব্যবহারকারীদেরকে সিগনাল ও টেলিগ্রামের মতো গোপনতায় জোর দেওয়া মেসেজিং সেবায় চলে যেতে আহ্বান জানিয়েছেন।