বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর বহদ্দারহাটে দলের মেয়র প্রার্থী
এম রেজাউল করিম চৌধুরীর বাড়িতে জরুরি বর্ধিত সভায় তিনি এ হুমকি দেন।
সাবেক মেয়র নাছির বলেন, “যারা দলীয় পদ-পদবী নিয়ে বিদ্রোহী
প্রার্থী হয়েছেন, তাদের ভবিষ্যতে কোনো পদ-পদবি দেওয়া হবে না। এমনকি তাদের প্রাথমিক
সদস্য পদও থাকবে না।
“কেননা এতবার বলা সত্ত্বেও যাদের এখনও বোধোদয় হয়নি, তাদের
বিষয়ে আমরা কেন্দ্রকে অবহিত করব। আমরা কেন্দ্রের সাথে যোগাযোগ করে এক ও অভিন্ন সিদ্ধান্ত
গ্রহণে উপনীত হয়েছি।”
সিসিসির ৪১টি সাধারণ ও ১৪টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলরের
মোট ৫৫টি পদে ৩৪টিতেই দলীয় মনোনয়নের বাইরে আওয়ামী লীগের এক বা একাধিক প্রার্থী আছে।
দলের সাবেক কাউন্সিলরদের মধ্যে ১৭ জন মনোনয়ন পাননি। যাদের
মধ্যে ১৪ জনই ভোটের মাঠে আছেন।
করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় ১০ মাস দেরিতে হতে যাওয়া সিটি
ভোটে কাউন্সিলর পদে দলের বিদ্রোহীদের মধ্যে যারা মাঠে আছেন, তাদের বেশিরভাগই সাবেক
মেয়র নাছিরের অনুসারী।
বৃহস্পতিবারের সভায় নাছির বলেন, “শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন
দিয়েছেন, তাদের বিজয়ের বিকল্প নেই। মেয়র পদে এই প্রথমবারের মতো এম রেজাউল করিম চৌধুরীকে
নৌকা প্রতীক উপহার দিয়েছেন। নৌকা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক, তাই নৌকার বিজয়
সুনিশ্চিত করতে হলে ঘরে বসে নিশ্চিন্ত থাকলে চলবে না।
“নির্বাচন নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের কোনো গাফিলতি বরদাস্ত
করা হবে না। ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি এবং নৌকা প্রতীক নিয়ে মানদন্ড বিবেচনায়
ভবিষ্যতের নেতৃত্ব যাচাই-বাছাই করা হবে।”
নাছির জানান, শুক্রবার আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরুর দিন দক্ষিণ
পাহাড়তলী ওয়ার্ড হতে গণসংযোগ শুরু হবে। প্রার্থীসহ নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও তিনি
তাতে উপস্থিত থাকবেন।
নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী
সভায় বলেন, “শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দিয়েছেন সেই প্রশ্নে কোনো বিতর্কের অবকাশ নেই।
তাই এই বিষয়টি আমলে এনে আমাদেরকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
“আমাদের কাছে প্রতিটি ওয়ার্ডের সাংগঠনিক প্রতিবেদন আছে।
আমরা আশা করি, প্রতিটি ওয়ার্ডে নৌকার গণজোয়ার সৃষ্টি করে আগামী ২৭ জানুয়ারী শেখ হাসিনাকে
আমরা নৌকা উপহার দেব।”
বর্ধিত সভা নগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক
শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, ইব্রাহীম
হোসেন চৌধুরী বাবুল, জহিরুল আলম দোভাষ ডলফিন ও আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ
সম্পাদক ও মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী ও বদিউল আলম, কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম,
সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনি, হাসান
মাহমুদ শমসের, শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, আহমেদুর রহমান
সিদ্দিকি, মো. হোসেন, মানস রক্ষিত এবং ১৫টি থানা ও ৪৩ সাংগঠনিক ওয়ার্ডের সভাপতি-সাধারণ
সম্পাদক, আহবায়ক ও যুগ্ম আহবায়করা।