জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়
জানিয়েছে, জেলায় এবার ৩৮ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও আবাদ হয়েছে
৩৭ হাজার ৭৮০ হেক্টরে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের
উপ-পরিচালক শাহ আলম জানান, মুন্সীগঞ্জের ছয়টি উপজেলার মধ্যে টঙ্গীবাড়িতে ১০ হাজার ৯০
হেক্টর, সদরে ১০ হাজার ২০ হেক্টর, সিরাজদিখানে ৯ হাজার ৪২০ হেক্টর, লৌহজংয়ে ৪ হাজার
৩৭০ হেক্টর, গজারিয়ায় ২ হাজার ৩৫০ হেক্টর এবং
শ্রীনগরে ২ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্য ছিল।
“কিন্তু টঙ্গীবাড়ি ও লৌহজংয়ে
আবাদ কম হয়েছে। বিশেষ করে লৌহজংয়ে জমিগুলো দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতার মধ্যে থাকায় আলু
রোপণের অনুপযোগী থেকে যায়। আর মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টির কারণে জেলার ৩৫ একর জমির রোপণকৃত
আলু বীজ নষ্ট হয়ে যায়।”

শাহ আলম আরও জানান, যেসব
জমিতে আলু আবাদ হয়নি সেখানে অন্য ফসল আবাদ করছে কৃষকরা। এক্ষেত্রে পূনর্বাসনের জন্য
দফায় দফায় কয়েক হাজার কৃষকের মাঝে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।
পরিচর্যা ভালো হলে আলু
উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্র অর্জন হবে আশাবাদ
ব্যক্ত করে তিনি বলেন, “কৃষকরা আলুর পাশাপাশি জমিতে অন্য ফসল রোপণের মাধ্যমেও ক্ষতি
পুষিয়ে নিতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।”
জেলায় এ বছর বিএডিসির বীজ
আলু অবিক্রিত থাকেনি বলে জানিয়েছেন বিএডিসির জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (বীজ বিপনন) মো.
রুহুল কবির।
তিনি জানান, ২২শ মেট্রিক
টন বীজ সরবরাহের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। ১৮০৫ মেট্রিক টন বরাদ্ধ পাওয়া গেছে। নভেম্বরের
শেষ ও ডিসেম্বরের শুরুর দিকে সকল বীজ বিক্রি হয়ে যায়।
এবার বীজ আলু ৪৫-৪৬ টাকা
কেজি বিক্রি হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, বন্যা ও জলাবদ্ধতায়
ক্ষতিগ্রস্ত কয়েক হাজার কৃষকের মাঝে কৃষি বিভাগ থেকে প্রণোদনা ও পূনর্বাসন হিসেবে দুই
কোটি টাকার বিভিন্ন বীজ ও সারসহ সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে বলে তিনি জানান।