শনিবার দুপুরে সদর উপজেলার গড়পাড়ায় শুভ্র সেন্টারে অসহায় শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করতে গিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের দেশে অনেকেই ভ্যাকসিন দিতে চাচ্ছে। আশা করি ভ্যাকসিনের কোনো অভাব হবে না।
“চলতি মাসের শেষের দিকে অথবা আগামী মাসের শুরুর দিকে বাংলাদেশ করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন পেয়ে যাবে।”
করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার জন্য সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি জানান, চীন, রাশিয়া ও আমেরিকাসহ ইউরোপের দেশগুলো বাংলাদেশকে এ ভ্যাকসিন দিতে চাচ্ছে। ফাইজার কোম্পানি থেকে বিনামূল্যে কিছু ভ্যাকসিন দিতে চাচ্ছে।
এ ভ্যাকসিন সম্মুখযোদ্ধাদের আগে তা দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “দেশে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের কোনো অভাব হবে না।”
দেশের মহামারী পরিস্থিতি প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “করোনার নিয়ন্ত্রণ ও চিকিৎসায় দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম। আমাদের দেশে আগের তুলনায় করোনার সংক্রমণ কমে গেছে।
সংক্রমণের হার এখন সাড়ে ৫ শতাংশ এবং সুস্থতার হার ৯০ শতাংশ।”
এ ক্ষেত্রে বিশ্বের ১৯২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ২০তম অবস্থানে রয়েছে জানিয়ে তিনি জানান, আমেরিকার অবস্থান ৪০ নম্বরে এবং ভারতের অবস্থান ৩৫ নম্বরে।
“আমাদের দেশে কোনো ওয়েভ নাই। যেভাবে আমেরিকাতে প্রত্যেকদিন চার হাজার লোক মারা যায়, পুরো বিশ্বে প্রায় ১০ হাজারের অধিক লোক মারা যায়। আমাদের দেশে মৃত্যুর হারও কমে গেছে।”