শনিবার সকালে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কমলাপুরের গোপালপুর কবরস্থানে তাকে দাফনের পর এ ঘটনার বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
তার আগে রাত ১টার দিকে তার লাশ ঢাকা থেকে কুষ্টিয়ায় আনা হয়। সকাল ৭টার পর গোপালপুর ঈদগা মাঠে তার জানাজা হয়।
এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। ভোর থেকেই মানুষজন তাকে শেষবার দেখতে ভিড় করেন। জানাজায় অংশ নিয়ে এলাকাবাসী এ হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।

দাফন শেষে কমলাপুর বাজারে সড়কে তাৎক্ষণিকভাবে এ ঘটনার দ্রুত দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি দাবিতে মানববন্ধন করেন তারা। মানববন্ধনে মেয়েটির বাবা, ছোটভাইসহ স্বজনরাও উপস্থিত ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বন্ধুর বাসায় গিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ এনে মেয়েটির বাবা মামলা করেন। এ মামলার একমাত্র আসামি ওই ছাত্রীর বন্ধু ইফতেখার ফারদিন দিহান (১৮)।
ঘটনার দিনই হাসপাতাল থেকে দিহানকে গ্রেপ্তার করে কলাবাগান থানা পুলিশ। শুক্রবার মামলায় ‘দোষ স্বীকার’ করে তিনি ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
মেয়েটির বাবার করা মামলায় বলা হয়েছে, তার মেয়েকে কলাবাগান ডলফিন গলির বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন দিহান। প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে অচেতন হয়ে পড়লে বিষয়টি ভিন্নখাতে নেওয়ার আসামি নিজেই তাকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে যান।

জিজ্ঞাসাবাদে দিহানের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার সাজ্জাদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “দুইজনের সম্মতিতে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়।
“প্রথমে এড়িয়ে গেলেও মধ্যরাতে দিহান শারীরিক সম্পর্কের কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করে।”
ওই স্কুল ছাত্রী ও দিহানের সাথে বন্ধুত্ব বেশ কয়েক বছরের। বিষয়টি তাদের পরিবারের সদস্যরাও জানেন। তবে এজাহারে এই বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি বলেও জানান তিনি।
মেয়েটি তার বাবা-মা ও ভাই-বোনদের সাথে ধানমন্ডিতে থাকেন।