করোনাভাইরাসের শঙ্কায় টেস্ট অধিনায়ক হোল্ডার, ওয়ানডে অধিনায়ক পোলার্ডসহ ক্যারিবিয়ানদের নিয়মিত ১০ জন ক্রিকেটার বাংলাদেশ সফর থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছেন। তারুণ্যনির্ভর নতুন চেহারার দল নিয়ে সফরে আসছে তারা।
গত জুন-জুলাইয়ে মহামারীর ভয়ঙ্কর সময়ে ইংল্যান্ড সফর করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বেশকজন ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার এরপর দেশের বাইরে সিপিএল ও আইপিএল খেলেছেন, নিউ জিল্যান্ড সফর করেছেন, এখন বিগ ব্যাশে খেলছেন। এই সিরিজ-টুর্নামেন্টগুলোর মতো বাংলাদেশের সিরিজও জৈব-সুরক্ষা বলয়ে আয়োজন করা হচ্ছে। এত দেশে খেলার পর বাংলাদেশ সফরের আগে কোভিড নিয়ে হোল্ডার-পোলার্ডের হঠাৎ ভয় অনেকের মতো অবাক করেছে রোজকেও।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ১৯ টেস্টে ৫৩ ও ২৭ ওয়ানডেতে ২৯ উইকেট নেওয়া রোজ খুঁজে পাচ্ছেন না বাংলাদেশ সফরে যেতে না চাওয়ার কারণ। জ্যামাইকার একটি সংবাদমাধ্যমে খেলোয়াড়দের এমন মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
“এই খেলোয়াড়রাই ইংল্যান্ড ও নিউ জিল্যান্ডে কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে গিয়েছে। আর এখন হঠাৎ বাংলাদেশ সফরের বেলায় তারা ভীত? খুব খারাপ। তারা করোনাভাইরাসের সমস্যার কথা বলছে, এখনো এই ক্রিকেটারদের অনেকে অস্ট্রেলিয়ায় খেলছে। সেখানে কি তারা আক্রান্ত হবে না?”
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক পেসার ফ্র্যাঙ্কলিন রোজ।
মহামারীকালে দেশের বাইরের সিরিজে খেলোয়াড়দের না খেলার স্বাধীনতা দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কেউ সরে দাঁড়ালে তা ভবিষ্যতে তার খেলার পথে বাধা হবে না। ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের এমন সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট নন রোজ।
“এই খেলোয়াড়দের কেউ যদি ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও ভারত দলের হতো, তখন তারা কি কোথায় যাবে বা কখন যাবে না, এটা বেছে নিতে পারতো? আমি কখনও ওই দলগুলোয় এমন দেখিনি। আমাদের শৃঙ্খলাবদ্ধ, প্রতিশ্রুতিবদ্ধ খেলোয়াড় দরকার। বোর্ড যদি এদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতে পর্যাপ্ত শক্তিশালী না হয়, বোর্ড কর্তাদের সরে দাঁড়ানো উচিত।”
বাংলাদেশের বিপক্ষে দুটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে খেলবে ক্যারিবিয়ানরা। তিন বছর জাতীয় দলের হয়ে খেলা রোজ জানান, তিনি ঠিকই এমন একটি সিরিজে খেলার সুযোগ লুফে নিতেন।
“আমি যদি ওই খেলোয়াড়দের একজন হতাম, আমি বাংলাদেশে যেতাম। দলটি এখন বিশ্বের সবচেয়ে দুর্বল দল, তাদের বিপক্ষে ব্যাটিং ও বোলিংয়ে নিজের গড় বাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতাম।”
সবশেষ বাংলাদেশ সফরে ক্যারিবিয়ানরা ২-১ ব্যবধানে হেরেছিল ওয়ানডে সিরিজ, টেস্টে হয়েছিল হোয়াইটওয়াশড। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বাংলাদেশ জিতেছিল ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
রোববার বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে ক্যারিবিয়ানরা। ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচ হবে ২০ ও ২২ জানুয়ারি, মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে। শেষ ম্যাচ ২৫ জানুয়ারি, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে।
জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্ট শুরু ৩ ফেব্রুয়ারি। দ্বিতীয় টেস্ট শুরু ১১ ফেব্রুয়ারি, মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে।