ক্যাটাগরি

যুক্তরাষ্ট্রই আমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু: কিম

কিমের এ ভাষ্য ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে যাওয়া জো বাইডেনের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হাজির করল বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

পিয়ংইয়ংয়ে দলীয় কংগ্রেসে উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা বলেছেন, হোয়াইট হাউস যারই দখলে থাকুক না কেন, ওয়াশিংটনের বৈরি নীতির কোনো অদল-বদল হয় না। যুক্তরাষ্ট্র-উত্তর কোরিয়ার সম্পর্কের ক্ষেত্রে ওইসব বৈরি নীতিকে মূল প্রতিবন্ধকতা বলেও অ্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি।

কিম তার দেশের কর্মকর্তাদের যুক্তরাষ্ট্রকে পরাস্ত করার দিকে মনোযোগী হতে আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার অগ্রগতির পথে প্রধান বাধা বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। 

“যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় কে তাতে কিছুই যায় আসে না; তাদের আসল চেহারা ও উত্তর কোরিয়া সংক্রান্ত মৌলিক নীতি কখনো বদলায় না,” কিম এমনটাই বলেছেন বলে শনিবার জানিয়েছে কেসিএনএ। 

উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ‘সাম্রাজ্যবাদবিরোধী, স্বাধীন শক্তিগুলোর’ সম্পর্ক আরও জোরদারেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

পিয়ংইয়ং পরমাণু অস্ত্রের ‘অপব্যবহার’ করবে না জানিয়ে কিম বলেছেন, উত্তর কোরিয়া নিজেদের অস্ত্রভাণ্ডার আরও প্রসারিত করছে। বানাচ্ছে নানান আকারের ওয়ারহেড; একই সঙ্গে ‘প্রতিরোধ’ ও ‘প্রতিশোধমূলক’ আক্রমণেও সক্ষম হয়ে উঠছে।

উত্তর কোরিয়া একাধিক ওয়ারহেডযুক্ত রকেট, নতুন ধরনের ব্যালিস্টিক রকেটের জন্য সুপারসনিক গ্লাইডিং ফ্লাইট ওয়ারহেডসহ নানান ধরনের অস্ত্র পরীক্ষা এবং উৎপাদনের পাশাপাশি পারমাণবিক সাবমেরিনের গবেষণাও প্রায় শেষ করে এনেছে বলে জানান দেশটির শীর্ষ নেতা।

ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির অষ্টম কংগ্রেসে কিমের দেওয়া বক্তব্যে সামনের মাসগুলোতে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচিকে গতিশীল করার ইঙ্গিত রয়েছে। তেমনটা হলে, বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে পিয়ংইয়ংয়ের টানাপোড়েন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রশাসনের চেয়েও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা পর্যবেক্ষকদের।