ক্যাটাগরি

প্লে স্টোর থেকে ‘পার্লার’ সরালো গুগল, অ্যাপল বেঁধে দিলো সময়

মূলধারার সামাজিক মাধ্যমের বিকল্প “বাকস্বাধীনতা সমর্থক” প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ২০১৮ সালে পার্লার প্রতিষ্ঠা করেন জন মাটজি। নিজেকে ‘লিবার্টেরিয়ান’ বলেই দাবি করেন তিনি। রয়টার্স উল্লেখ করেছে, ডান ঘেঁষা অনেক ব্যবহারকারী পাড়ি জমিয়েছে প্ল্যাটফর্মটিতে, গত কয়েক বছরে ট্রাম্প সমর্থকদের পছন্দের জায়গা হয়ে উঠেছে অ্যাপটি।

পার্লার ব্যবহারকারীদের মধ্যে রয়েছেন, ধারাভাষ্যকার ক্যান্ডেস ওয়েনস, ট্রাম্প আইনজীবি রুডি জুলিয়ানি, ডানপন্থী সক্রিয় কর্মী লরা লুমারের মতো ব্যক্তিরা। শুধু ব্যবহারের দিক থেকে নয়, পার্লারে তহবিল দিয়েছেন এমন ট্রাম্প সমর্থকও রয়েছেন। রক্ষণশীল কর্মী রেবেকা মার্সার নভেম্বরে জানিয়েছেন, তিনি ও তার পরিবার পার্লারের তহবিল জুগিয়েছেন। রেবেকা মার্সারের বাবা রবার্ট মার্সার হেজ-ফান্ড বিনিয়োগকারী বলেই উল্লেখ করেছে রয়টার্স।          

বুধবার ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল হিলে আক্রমণ করার সময়টিতে ট্রাম্প সমর্থকরা সেবাটি ব্যবহার করছিলেন। ওই ঘটনার দিকে নির্দেশ করে অ্যাপল সেবাটিকে ২৪ ঘণ্টার কনটেন্ট মডারেশন সময় বেঁধে দিয়েছে। এ ছাড়াও সহিংসতায় উস্কানিমূলক কনটেন্টের বেলায় পার্লার কী করবে, সে ব্যাপারে লিখিত পরিকল্পনা জমা দিতে বলেছে সেবাটিকে। আর গুগল সরাসরি প্লে স্টোর থেকেই সরিয়ে দিয়েছে পার্লারকে।

ক্যাপিটল হিলের ঘটনার পর টুইটার নিজ প্ল্যাটফর্ম থেকে অনেক ট্রাম্প সমর্থককে নিষিদ্ধ করেছে। এখন অ্যাপল ও গুগলের পদক্ষেপের কারণে টুইটারে নিষিদ্ধ হওয়া সমর্থকরা বিশ্বের মূল দুই অ্যাপ স্টোর থেকে বিকল্প সামাজিক মাধ্যম পার্লার-ও নামাতে পারবেন না। তবে, চাইলে সেবাটি মোবাইল ব্রাউজারে ব্যবহার করতে পারবেন।              

সহিংসতায় উস্কানি দেয় এমন অ্যাপের বিরুদ্ধে নীতিমালা রয়েছে জানিয়ে গুগল উদাহরণ টেনেছে পার্লারের সাম্প্রতিক কনটেন্টের, যেখানে শুক্রবারও পোস্ট করা হয়েছে “আমরা কীভাবে আমাদের দেশ ফিরিয়ে নিতে পারি। প্রায় ২০ বা এইরকম সমন্বিত আঘাত।” আরেক পোস্টে আবার প্রচারণা চালানো হচ্ছে ওয়াশিংটনে ‘মিলিয়ন মিলিশিয়া মার্চের’।

পার্লার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী জন মাটজি শুক্রবার এক পোস্টে জানিয়েছেন, অ্যাপল যে মানের কথা বলছে, তা তারা নিজেরাই মেনে চলে না।       

এ প্রসঙ্গে মাটজি’র বক্তব্য হলো, “তাদের মতে সব ব্যবহারকারী সৃষ্ট কনটেন্টের দায় পার্লারের। তাহলে একই যুক্তি মেনে বলা চলে, প্রতিটি গাড়ি বোমা, অবৈধ ফোনালাপ, আইফোনের মাধ্যমে সংঘটিত অবৈধ অপরাধের জন্য অ্যাপলকে অবশ্যই দায় নিতে হবে। যে মান টুইটার, ফেইসবুক এমনকি অ্যাপলের বেলায় খাটে না, তা পার্লারের বেলায় খাটে।”

অ্যাপল এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।