শনিবার সকালে নগরীর
ফিসারিঘাটে মৎস্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের মধ্য দিয়ে দিনের কার্যক্রম শুরু করেন
নৌকার প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী।
এরপর দুপুরে মিউনিসিপ্যাল
স্কুল মাঠে জাতীয় শ্রমিক লীগের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন তিনি। বেলা ৩টায় যান স্টেশন
রোডে নগর বাইশ মহল্লা সর্দার কমিটিতে সর্দারদের সাথে মতবিনিময়ে।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী
দিনভর নগরীর কেন্দ্রে প্রচার চালালেও বিএনপির প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন শনিবার ব্যস্ত
সময় কাটান নগরীর প্রান্তে পতেঙ্গা এলাকায়।
পতেঙ্গা এলাকায় গণসংযোগে সৈকতের উন্নয়ন এবং বন্দরের খালি পদে ওই এলাকার বাসিন্দাদের নিয়োগ দিতে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন।
রেজাউল করিম চৌধুরী
বাইশ মহল্লা সর্দারদের কাছ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ নেন। এ সময় তিনি বলেন, হোল্ডিং
ট্যাক্স ‘সহনীয় পর্যায়ে’ রাখা হবে, যাতে বোঝা না হয়।
বাইশ মহল্লার কবরস্থানে
সার্বিক উন্নয়নে যথাযথ ব্যিবস্থা গ্রহণেরও আশ্বাস দেন তিনি।
সুষ্ঠু, সুন্দর ও উৎসবমুখর
পরিবেশে নির্বাচনের আশাবাদ ব্যক্ত করে ভোটারদের আগামী ২৭ জানুয়ারী ভোট কেন্দ্রে এসে
হাসিমুখে নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে এলাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানান রেজাউল করিম চৌধুরী।
বাইশ মহল্লা সর্দার
কমিটির সভাপতি মো. ইউসুফ সর্দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন মকসুদ আহমদ,
নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, শফি জাহেদ হোসেন, আলী আব্বাস সালাউদ্দিন
ইবনে চৌধুরী, নুরল হক, শওকত আলী, শফিকুল হাসান, মোহায়দুল আলম চৌধুরী, মো. ইউনুচ,
মো. নাছির প্রমূখ।
এরপর বিকেলে নগরীর
কেন্দ্রস্থল আন্দরকিল্লা, জামাল খান ও এনায়েত বাজার ওয়ার্ডে গণসংযোগ শুরু করেন রেজাউল।
রাত পর্যন্ত এই তিন
ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে নৌকায় ভোট চান রেজাউল করিম চৌধুরী।
বিএনপি প্রার্থী ডা.
শাহাদাত দুপুরে গণসংযোগ শুরুর আগে সকালে হালিশহর বি ব্লক এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে
করোনাভাইরাসের সুরক্ষা সামগ্রী ও মাস্ক বিতরণ করেন।
পরে তিনি ২৬ নম্বর
ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল হাশেমের বাসভবনের সামনে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।
এরপর ৪১ নম্বর দক্ষিণ
পতেঙ্গা ওয়ার্ডে গণসংযোগে যান। নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে লালদিয়ার চর, ১৫ নম্বর নিজাম
মার্কেট, ফুলচড়ি পাড়া, নাজিরপাড়া, চড়িহালদা, মাইজপাড়া হয়ে চৌধুরীপাড়ায় এসে পথসভায়
বক্তব্য রাখেন তিনি।
এ সময় ডা. শাহাদাত
বলেন, “মেয়র নির্বাচিত হলে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতকে আরও দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তুলব।
চট্টগ্রাম বন্দর হচ্ছে দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। এই বন্দর চট্টগ্রামে হলেও
এর আশপাশের এলাকার যাদের ভূমি অধিগ্রহণ করে বন্দর গড়ে উঠেছে ওই সব এলাকার মানুষ বন্দরে
চাকরি পায় না।
“বর্তমানে চট্টগ্রাম
বন্দরে প্রায় দুই হাজার পদ খালি রয়েছে। এতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চট্টগ্রামের বন্দর
এলাকার মানুষকে নিয়োগ দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে। পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত থেকে থাইল্যান্ডের
পাতায়া বিচ আয়তনে অনেক ছোট। কিন্তু তারা সেখানে ফাইভ স্টার হোটেলসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা
দিয়েছে। সে তুলনায় পতেঙ্গায় তেমন অবকাঠামো গড়ে ওঠেনি।”
ডা. শাহাদাত বলেন,
“আমি মেয়র নির্বাচিত হলে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতকে পর্যটকদের জন্য আরও দৃষ্টিনন্দন ও
আধুনিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করে গড়ে তুলব। আমাদের এই প্রিয় চট্টগ্রামকে একটি সুন্দর,
স্বাস্থ্যসম্মত পর্যটন নগরী, পরিছন্ন, আধুনিক বাণিজ্য নগরী হিসাবে প্রতিষ্ঠার জন্য
প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেব।”
এ সময় নগর বিএনপির
সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন,
সাবেক সহ-সভাপতি জামাল আহমেদ, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল হাসেম,
গাজী মোহাম্মদ সিরাজ উল্লা, বিএনপি নেতা সাবেক কমিশনার মো. ইসমাইল, মাহমুদ আলম পান্না,
মোশারফ হোসেন দিপ্তী, কাউন্সিলর প্রার্থী ডা. নুরুল আবছার, মো. শাহাবউদ্দিন, জসিম উদ্দিন
জিয়া, কাউন্সিলর প্রার্থী জেসমিনা খানম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।