এরা হলেন- সিদ্দিকুর রহমান, নুরু মিয়া, হেমায়েত হোসেন
ওরফে হিমু ও আবুল বাশার।
গাজীপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের
সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে রোববার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি)
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
এসময় তাদের কাছে একটি করে প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল, তালা কাটার যন্ত্র, ল্যাগেজ, মোবাইল ফোন ও ১৯টি কাটা তালা উদ্ধার করা হয়।
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ
কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ৬ জানুয়ারি মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা হয়। তার তদন্তের সূত্র ধরে এদের গ্রেপ্তার করে ডিবির লালবাগ বিভাগ।
“এ চক্রের মূল কাজ হল গাড়ি ছিনতাই।
ছিনতাইকৃত সেই গাড়ি দিয়ে ঢাকার আশেপাশে আশুলিয়া, গাজীপুর ও ঢাকার উত্তরায় বাজার ও দোকান-পাট লুট করে।”
এই চক্রের আরও কিছু সদস্য আছে
জানিয়ে তিনি বলেন, এই চক্রটি বিভিন্ন
সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় চুরি ও ছিনতাই করে
আসছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা ডিবি পুলিশের পরিচয়
দিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে রাতের বেলায় বিভিন্ন দোকানপাটে
চুরি ও ছিনতাই করত এবং রাস্তার পাশে বিভিন্ন দোকানে বিশেষ করে মোবাইল দোকানগুলোতে
চুরি করত চক্রটি।
গাড়ি চুরি বা ছিনতাই রোধে গাড়িতে
ট্র্যাকার মেশিন ব্যবহার করার অনুরোধ জানান ডিবির এ গোয়েন্দা কর্মকর্তা।
গ্রেপ্তারকারী দলের সহকারি পুলিশ
কমিশনার মধুসূদন দাস বলেন, এরা দিনের বেলায়
ফেরিওয়ালা সেজে বাড়ি রেকি করে। পরে গভীর রাতে বা
সুবিধামতো সময়ে বাড়ি ও দোকানের তালা কেটে টাকা, গাড়ি,
মোবাইলসহ মূল্যবান সামগ্রী চুরি করে দ্রুত গাড়িতে করে পালিয়ে
যায়।
তাদের বিরুদ্ধে ঢাকাসহ দেশের
বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানান তিনি।