রোববার ভোর রাতে উখিয়া উপজেলার রত্নাপালং ইউনিয়নের কোটবাজার স্টেশনে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী এবং পুলিশ জানিয়েছে।
নিহত মো. ফোরকান আহমদ ওরফে কালু (১৪) উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়নের তেলিপাড়ার বশির আহমদের ছেলে।
উখিয়ার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী সালাহউদ্দিন বলেন, সিআইডির বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।
হত্যাকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে জানতে পুলিশের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, ওই দোকান মালিকের বরাত দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল আলম বলেন, “রত্নাপালং ইউনিয়নের তেলিপাড়ার বাসিন্দা শাহ আলমের মালিকাধীন কোটবাজার স্টেশনে ‘মুক্তা ডেকোরেশন’ নামের একটি দোকান রয়েছে। দোকানটিতে কাজ করত একই এলাকার ফোরকান আহমদ ওরফে কালু নামের স্থানীয় এক কর্মচারী।
“সপ্তাহ খানেক আগে ফোরকান পূর্ব পরিচিত উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা এক যুবককে দোকানে কাজ করতে নিয়ে আসে। তারা দোকানেই রাত্রিযাপন করত।”
ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, “প্রতিদিনের মতো শনিবার রাতেও ফোরকান এবং ওই রোহিঙ্গা যুবক রাত্রিযাপনের জন্য দোকানে থেকে যায়। দোকান মালিক শাহ আলম রাতে খাবারের জন্য টাকা দিয়ে বাড়িতে যান।
“মধ্যরাতে বা ভোর রাতের কোনো এক সময় ফোরকানকে জবাই করে হত্যা করে রোহিঙ্গা যুবক। পরে দোকানের ক্যাশ লুট করে রোহিঙ্গা যুবক পালিয়ে যায়।”
তিনি বলেন, “সকালে শাহ আলম এসে দেখেন দোকানটি বাইরে থেকে তালা দেওয়া। ডাকাডাকির পরও কোনো সাড়া-শব্দ না পাওয়ায় তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন। এ সময় দোকানের মেঝেতে ফোরকানের জবাই করা মৃতাবস্থায় দেখতে পান।”
তবে ওই রোহিঙ্গা যুবকের নাম ও পরিচয় জানাতে পারেননি এ ইউপি চেয়ারম্যান।