রোববার জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়। মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ভাইরাসের নতুন ওই ধরনটির উপর কোভিড-১৯ টিকা কতটা কার্যকর তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
নতুন এই ধরনটি যুক্তরাজ্যে শনাক্ত করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ধরন থেকে ভিন্ন। যুক্তরাজ্যে শনাক্ত ধরনটি মূল ভাইরাস থেকে ৭০ শতাংশ দ্রুত রোগ ছড়াতে সক্ষম। যা নিয়ে বিশ্বজুড়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
রোববার জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে দেশটির ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ইনফেকশিয়াস ডিজিজেস এর প্রধান তাকাজি ওয়াকিতা বলেন, ‘‘ব্রাজিল থেকে আসা ভ্রমণকারীদের দেহে করোনাভাইরাসের নতুন যে ধরনটি শনাক্ত হয়েছে সেটি নিয়ে পরীক্ষা চলছে। এখন পর্যন্ত সেটির অতি সংক্রামক হওয়ার কোনও প্রমাণ আমরা পাইনি।”
তাছাড়া, নতুন এই ধরণটি দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত করোনাভাইরাসের ধরন থেকে ভিন্ন বলেও তাকাজি উল্লেখ করেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ব্রাজিল থেকে আসা চার জন গত ২ জানুয়ারি টোকিওর হানেদা বিমানবন্দরে নামেন। তাদের মধ্যে বয়স চল্লিশের কোটায় থাকা এক পুরুষের শ্বাসকষ্ট এবং তিরিশের কোটায় থাকা এক নারীর মাথা ও গলায় ব্যাথা ছিল।
এছাড়া, এক কিশোরের জ্বর ছিল। তবে তাদের সঙ্গে থাকা কিশোরীর শরীরে কোনও উপসর্গ ছিল না।
জাপানে আবারও কোভিড-১৯ সংক্রমণ বাড়তে থাকায় গত বৃহস্পতিবার থেকে রাজধানী টোকিও এবং এর আশেপাশের তিনটি অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
রাষ্ট্রয়ত্ত্ব সম্প্রচার মাধ্যম এনএইচকে জানায়, জাপানে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দুই লাখ ৮৯ হাজারে পৌঁছেছে। আর মারা গেছেন ৪,০৬১ জন।