রোববার বিকালে
জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম এস এম মাহাবুব ইসলামের আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায়
তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
গত ৪ জানুয়ারি
ফাহিদ হাসান সিফাত (১৮) বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন।
শুক্রবার সন্ধ্যায়
প্রতিবেশী কলেজ ছাত্র মতিউর রহমান (২৩), তার বাবা মোখলেছার রহমান, মা ময়না বেগম ও তার
চাচাত ভাই লিমনকে (২২) র্যাব আটক করে।
পরে মতিউরের
দেওয়া তথ্যে শনিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের ছোটদাপ গ্রামে একটি
ক্ষেতের মাটি খুঁড়ে সিফাতের লাশ উদ্ধার করে র্যাব। সিফাতের বাড়িও একই গ্রামে।
এই ঘটনায় শনিবার
রাতে নিহত সিফাতের বাবা সফিকুল ইসলাম আটোয়ারী থানায় হত্যা মামলা করেছেন।
মামলার তদন্ত
কর্মকর্তা আটোয়ারী থানার এস আই দিপেন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, এই মামলায় আটক মতিউর রহমানসহ
চারজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিকালে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম এস এম মাহাবুব ইসলামের আদালতে
নেওয়া হয়।
“পরে মামলার
মূল আসামি মতিউর রহমান ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক
জবানবন্দি দেন।”
মামলায় গ্রেপ্তার
চারজন ও অজ্ঞাত কয়েকজনকে এই মামলায় আসামি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন,
পূর্ব বিরোধের জেরে ক্ষোভ থেকে মতিউর পরিকল্পিতভাবে সিফাতকে একাই শ্বাসরোধ করে হত্যার
পর লাশ মাটিতে পুঁতে রেখেছেন। তবে তার সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত ছিলেন না বলে দাবি তার।
আরও তথ্য উদঘাটন
করতে অন্য আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে বলে
তিনি জানান।
গ্রেপ্তার সবাইকে
আদালতের নির্দেশে জেল হাজতে পাঠানো হয় বলেও তিনি জানান।
সিফাতের বাবা
সফিকুল ইসলাম বলেন, পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে সিফাতের লাশ শনিবার
রাতে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রাতেই পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়েছে।