জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি চৌধুরী রেজাউল করিম বলেন, শনিবার রাত ৮টার দিকে জেলার ডাসার থানার পূর্ব বোতলা গ্রামের মজিদ আকনের বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করেন তারা।
নিহত মুর্শিদা আক্তার (১৬) ওই গ্রামের চান মিয়া হাওলাদারের মেয়ে।
কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে গত বছর ফেব্রুয়ারি মুর্শিদাকে চিকিৎসা করানোর কথা বলে নিয়ে যান একই গ্রামের মজিদ আকনের ছেলে সাহাবুদ্দিন আকন (২০)। সেই থেকে সে নিখোঁজ। এ ঘটনায় ওই বছর ৪ মার্চ সাহাবুদ্দিনসহ পাঁচজনকে আসামি করে ডাসার থানায় মামলা করেন মুর্শিদার মা মাহিনুর বেগম।
গত ১৮ ডিসেম্বর মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশ তদন্তের দায়িত্ব নেয়।
ওসি রেজাউল বলেন, গত ৩০ ডিসেম্বর আসামি সাহাবুদ্দিন আকন জামিন আবেদন করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়। পরে পুলিশ তাকে দুই দিনের হেফাজতে পায়।
“শনিবার বিকালে মুর্শিদাকে হত্যার পর লাশ গুম করার কথা স্বীকার করেন সাহাবুদ্দিন।”
স্বীকারোক্তি মোতাবেক তাদের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মুর্শিদার গলিত লাশ উদ্ধার করা হয় বলে তিনি জানান। তবে তাকে কবে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে পুলিশ কিছু বলতে পারেনি।