নিজেদের মাঠ আলিয়াঞ্জ স্টেডিয়ামে রোববার রাতে সেরি আর ম্যাচটি ৩-১ গোলে জিতেছে শিরোপাধারীরা। চলতি মৌসুমে উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে চলা ইউভেন্তুস লিগে প্রথমবার টানা তিন ম্যাচ জিতল।
এই ম্যাচে জালে বল পাঠিয়ে ক্লাব ও জাতীয় দল মিলে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ডে অস্ট্রিয়া ও সেই সময়ের চেকোস্লোভাকিয়ার সাবেক স্ট্রাইকার ইয়োসেপ বিকানের পাশে বসেছেন রোনালদো। দুজনেরই গোল সংখ্যা ৭৫৯টি করে।
শুরু থেকে বল দখলে ইউভেন্তুস এগিয়ে থাকলেও প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের পরীক্ষা নিতে পারছিল না। বরং ৪৩তম মিনিটে একটি ধাক্কা খায় তারা। চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড পাওলো দিবালা।
এর একটু পর বড় ধাক্কা খায় সাস্সুয়োলো। ইউভেন্তুসের ফেদেরিকো চিয়েসাকে ফাউল করে প্রথমে হলুদ কার্ড দেখেন মিডফিল্ডার পেদ্রো ওবিয়াং। পরে ভিএআরের সাহায্যে তাকে লাল কার্ড দেখান রেফারি।
যোগ করা সময়ে ভালো দুটি সুযোগ পায় আগের ম্যাচে এসি মিলানকে ৩-১ গোলে হারানো ইউভেন্তুস। ছয় গজ বক্সের সামনে থেকে জানলুকা ফ্রাবোত্তার শট গোলরক্ষকের হাত ছুঁয়ে ডান দিকে ফাঁকায় পেয়ে নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি রোনালদো। পরের মিনিটে ফাঁকা পোস্টে বল উড়িয়ে মেরে সুযোগ নষ্ট করেন দেজান কুলুসেভস্কি।
দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে দারুণ এক গোলে চ্যাম্পিয়নদের এগিয়ে নেন দানিলো। ডি-বক্সের অনেকটা বাইরে থেকে ডান পায়ের জোরালো শটে ঠিকানা খুঁজে নেন এই ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার।
স্বাগতিকদের এগিয়ে যাওয়ার আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৫৮তম মিনিটে সতীর্থের পাসে জোরালো শটে সফরকারীদের সমতায় ফেরান গ্রেগোয়া দুফেল।
৭৫তম মিনিটে কাছ থেকে রোনালদোর নেওয়া শট ফেরান গোলরক্ষক। ৮২তম মিনিটে দলকে আবার এগিয়ে নেন র্যামজি। বাঁ দি থেকে সতীর্থের পাস ডি-বক্সে পেয়ে জালে পাঠান ওয়েলসের এই মিডফিল্ডার।
যোগ করা সময়ে তৃতীয় গোলটি করেন রোনালদো। নিজেদের অর্ধ থেকে দানিলোর উঁচু করে বাড়ানো বল ধরে ডি-বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড।
১৬ ম্যাচে নয় জয় ও ছয় ড্রয়ে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে চারে উঠেছে ইউভেন্তুস। এক ম্যাচ বেশি খেলে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে সাতে সাস্সুয়োলো।
তোরিনোর বিপক্ষে ২-০ গোলে জেতা এসি মিলান ১৭ ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে।
রোমার সঙ্গে ২-২ ড্র করা ইন্টার মিলান সমান ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে। ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে রোমা।