ক্যাটাগরি

সিডনিতে আগেও এমন তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে: অশ্বিন

চলমান সিরিজের তৃতীয় টেস্টে পরপর দুই দিন ভারতের ক্রিকেটারদের উদ্দেশে দর্শকদের বর্ণবাদী আচরণের অভিযোগ উঠেছে। তৃতীয় দিন শনিবার মোহাম্মদ সিরাজ ও জাসপ্রিত বুমরাহসহ আরও কয়েকজন হয়েছিলেন এর শিকার। ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট পরে অফিসিয়ালদের বিষয়টি জানান। চতুর্থ দিন রোববারও ঘটে এমন ঘটনা। এর প্রেক্ষিতে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডের কয়েকজন দর্শককে স্টেডিয়াম থেকে বের করে দেওয়া হয়।

দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে অশ্বিন জানালেন বিস্ফোরক তথ্য, সিডনির দর্শকরা বরাবরই এমন আচরণ করে।

“অস্ট্রেলিয়ায় এটা আমার চতুর্থ সফর। বিশেষ করে সিডনিতে অতীতেও এরকম অভিজ্ঞতা হয়েছে আমাদের। অতীতে আমাদের খেলোয়াড়রা বিরক্ত হয়ে এক-দুবার প্রতিক্রিয়াও দেখিয়েছে এবং সমস্যায় পড়েছে। আর সেসব হয়েছিল খেলোয়াড়দের কারণে নয়, বরং দর্শকদের আজেবাজে মন্তব্যের জন্য। বিশেষ করে বাউন্ডারির কাছাকাছি বসা দর্শকরা।”

অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক টিম পেইনকে বর্ণবাদের বিষয়টি জানাচ্ছেন মোহাম্মদ সিরাজ। ছবি: ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।

অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক টিম পেইনকে বর্ণবাদের বিষয়টি জানাচ্ছেন মোহাম্মদ সিরাজ। ছবি: ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।

অশ্বিন সম্ভবত ২০১১-১২ মৌসুমে ভারতের অস্ট্রেলিয়া সফরের কথা উল্লেখ করেছেন। যেবার দর্শকদের উদ্দেশে বিরাট কোহলির মধ্যমা দেখানোর ছবি সংবাদমাধ্যমে এসেছিল। সমালোচনাও হয়েছিল ঢের।

অশ্বিনের মতে, মাঠে আসা দর্শকদের নেতিবাচক আচরণের বিরুদ্ধে এখনই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

“তারা জঘন্য কাজ করছিল, আজেবাজে ভাষায় কথা বলছিল। তবে এবার তারা আরেক ধাপ এগিয়ে বর্ণবাদী মন্তব্য করেছে। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। আম্পায়াররা আমাদের বলেছিলেন, মাঠে এমন কিছু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জানাতে। এরপর তারা ব্যবস্থা নেবেন।”

“এখনকার সময়ে এসব একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। এর আগে এসব আমরা অনেক দেখেছি, তাই না? কঠোরভাবে দমন করতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে, এই ঘটনার যেন আর পুনরাবৃত্তি না হয়।”

অশ্বিন বুঝতে পারছেন না, সিডনির দর্শকরাই কেন বারবার এমন আচরণ করে। আবার গ্যালারির অন্যরা কেন এমন সব বাজে আচরণ করা দর্শকদের বিরুদ্ধে কথা বলে না।

“ব্যক্তিগতভাবে আমার মতে, অ্যাডিলেইড এবং মেলবোর্নে (পরিবেশ) এতটা খারাপ ছিল না। তবে সিডনিতে বিষয়টি লাগাতার হয়ে আসছে। আমিও এর শিকার হয়েছি। ওরা জঘন্য কাজ করে। আমি জানি না কেন এবং কোন কারণে।”

“যতক্ষণ না এই বিষয়গুলো কড়া হাতে দমন করা হচ্ছে, ততদিন মানুষ এগুলোকে ভিন্নভাবে দেখার পক্ষে যুক্তি পাবে না। আমি অবাক হয়ে লক্ষ্য করেছি, দর্শকদের নির্দিষ্ট একটা অংশ নিয়মিত আজেবাজে কথা বলছিল এবং আশেপাশের কেউ তাদের থামানোর ন্যূনতম চেষ্টাও করেনি। অবশ্যই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এক্ষেত্রে ‘হতাশাজনক’ শব্দটা খুব, খুব হালকা শব্দ।”