ক্যাটাগরি

কোভিড-১৯: সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানের মৃত্যু

রাজধানীর একটি বেসরকারি
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয় বলে প্রয়াতের ভাই সিদ্দিকুর
রহমান খান জানিয়েছেন।

দৈনিক প্রথম আলোর যুগ্ম
সম্পাদক মিজানুরের বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। তার স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

তিন দশকেরও বেশি সময়ের
সাংবাদিকতায় আইন-আদালত বিষয়ক লেখালেখির জন্য সব মহলে পরিচিত হয়ে ওঠেন মিজানুর রহমান
খান।

সিদ্দিকুর রহমান জানান,
গত ২৭ নভেম্বর তার বড় ভাইয়ের করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয়। পরীক্ষা করালে ২ ডিসেম্বর
পজিটিভ রিপোর্ট আসে।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর
ডটকমকে বলেন, মিজানুর রহমান খানকে প্রথমে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেখানে অবস্থার অবনতি হলে গত ১০ ডিসেম্বর তাকে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
নেওয়া হয়। সেখানে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এরমধ্যে শারীরিক অবস্থার
অবনতি হলে গত শনিবার বিকেলে মিজানুর রহমান খানকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। ভেন্টিলেশনে
ছিলেন তিনি। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন দায়িত্বরত চিকিৎসক।

মিজানুর রহমান খানের
জন্ম ১৯৬৭ সালের ৩১ অক্টোবর, ঝালকাঠির নলছিটিতে। নয় ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন
তিনি। তার মা বেঁচে আছেন।

বরিশালে স্থানীয় পত্রিকার
মাধ্যমে সাংবাদিকতা শুরু করেছিলেন মিজানুর রহমান খান। নব্বই দশকের শুরুর দিকে দৈনিক
খবর পত্রিকায় কাজের মধ্য দিয়ে ঢাকায় সাংবাদিকতা শুরু করেন তিনি। এরপর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে
কাজ করেছেন। সর্বশেষ প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

তার দুই ভাইও সাংবাদিকতায়
আছেন। এক ভাই সিদ্দিকুর রহমান খান দৈনিক শিক্ষা ডটকমের সম্পাদক, আরেকজন সমকালের সিনিয়র
রিপোর্টার এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান।

সিদ্দিকুর রহমান খান
জানান, বড় ভাইয়ের মরদেহ রাতে বারডেমের হিমঘরে রাখা হবে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা
রিপোর্টার্স ইউনিটি এবং পরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জানাজা হবে। এরপর তাকে ঢাকায় দাফন করা
হবে।