চীনের বাইরে প্রথম দেশ হিসাবে ইন্দোনেশিয়া সোমবার টিকাটি অনুমোদন করল।
তবে বিভিন্ন দেশে এই টিকার ট্রায়ালে তথ্য-উপাত্তের অপ্রতুলতা এবং টিকার কার্যকারিতার হারে হেরফের খবর পাওয়া যাওয়ায় টিকাটি নেওয়ার ক্ষেত্রে মানুষের আস্থা নাও থাকতে পারে বলে অভিমত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।
ইন্দোনেশিয়ার খাদ্য ও ওষুধ কর্তৃপক্ষ বিপিওএম বলেছে, ইন্দোনেশীয় শহর বানদুংয়ে মানবদেহে শেষ ধাপের পরীক্ষা থেকে পাওয়া তথ্যে সিনোভ্যাকের তৈরি ‘করোনাভ্যাক’ টিকা ৬৫ দশমিক ৩ শতাংশ কার্যকর দেখা গেছে।
আবার গত সপ্তাহে ব্রাজিলে সিনোভ্যাকের কোভিড টিকা পরীক্ষায় ৭৮ শতাংশ কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। এর আগে গতবছর ডিসেম্বরে তুরস্কের গবেষকরা সেদেশের ট্রায়ালে টিকাটি ৯১ দশমিক ২৫ শতাংশ কার্যকর বলেছেন।
তবে কার্যকারিতার এই ভিন্নতার পরও ইন্দোনেশিয়ার বিপিওএম প্রধান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, টিকা পরীক্ষার এই সবক’টি ফলেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত নূন্যতম ৫০ শতাংশ কার্যকারিতার মানদণ্ড পূরণ হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাদেরকে টিকা দেওয়া হবে তার মধ্যে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো। বুধবারই তিনি প্রথম ডোজ টিকা নেবেন।
শুরুতে ইন্দোনেশিয়া ৩০ লাখ ডোজ ‘করোনাভ্যাক’ টিকা দিতে পারবে। ১২ লাখ ডোজ টিকা এরই মধ্যে পাঠানো হয়েছে দেশটির ৩৪ টি প্রদেশে।
ইন্দোনেশিয়ায় এ পর্যন্ত করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৮৩৬,৭০০ জনের এবং মারা গেছে ২৪, ৩৪৩ জনের বেশি মানুষ।