সোমবার নগরীর চান্দগাঁও
ওয়ার্ডে প্রচারণায় গিয়ে একথা বলেন তিনি।
নগর বিএনপির আহ্বায়ক
ডা. শাহদাত বলেন, “ধানের শীষের গণসংযোগে জনগণের অভূতপূর্ব সাড়া দেখে সরকারি দল দিশেহারা
হয়ে পড়েছে। তারা নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার জন্য ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে।
দলীয় ক্যাডার লেলিয়ে দিয়ে জনসাধারণের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে।
“আওয়ামী লীগের মেয়র
প্রার্থী বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যা বিষোদগার শুরু করেছেন। এ সকল মিথ্যা অপপ্রচারের জবাব
২৭ জানুয়ারি জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে দেবে।”
এই বিএনপি নেতা বলেন,
“দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব একমাত্র বিএনপির হাতেই নিরাপদ। বিএনপি কোনো দেশের তাঁবেদারি
করে না। যারা ভিন দেশের তাঁবেদারি করে এবং প্রভু মানে তাদের হাতে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব
নিরাপদ নয়, সেটা বার বার প্রমাণিত হয়েছে।
“তাই আমাদের এই স্বাধীন
দেশে মুক্তিযুদ্ধের দল বিএনপিকে আবারও ক্ষমতায় আনতে দেশের মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। কিন্তু
জনগণের ঘাড়ে চেপে বসা স্বৈরাচারি সরকার দিনের ভোট রাতে সম্পন্ন করে মানুষকে তাদের
ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে জোর করে ক্ষমতা আঁকড়ে আছে।”
‘ভোটাধিকার ফিরিয়ে
আনতে’ ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নিবার্চনে দলমত নির্বিশেষে কেন্দ্রে গিয়ে
ভোট যুদ্ধে অংশ নিয়ে ‘স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের প্রতীক’ ধানের শীষে ভোট দিতে নগরবাসীর
প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এদিন বহদ্দারহাট হক
মার্কেটের সামনে থেকে গণসংযোগ শুরু করে বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল, পুরাতন চাঁন্দগাও
থানা, মৌলভী পুকুর পাড়, ওসমানিয়া গ্লাস ফ্যাক্টরি, বাহির সিগন্যাল মোড়ে প্রচার চালান
বিএনপি প্রার্থী।
এ সময় স্থানীয়দের উদ্দেশে
শাহাদাত বলেন, “চাঁন্দগাওবাসীর প্রতি সরকার বিমাতাসুলভ আচরণ করেছে, এখানে কোনো উন্নয়নের
ছোঁয়া লাগেনি। ১২ বছরের শাসনামলে আওয়ামী লীগ কালুরঘাট সেতু পুনঃনির্মাণ করতে ব্যর্থ
হয়েছে। আমি মেয়র নির্বাচিত হলে এই নির্বাচনী এলাকাকে মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত করে শান্তির
জনপদে পরিণত করব।”
গণসংযোগে অন্যদের মধ্যে
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির
আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক
ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সদস্য হারুন জামান, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মাহাবুবুল
আলম উপস্থিত ছিলেন।