গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে শুক্রবার প্রথম দিন শেষে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২২৯ রান। ১০৭ রান নিয়ে খেলছেন ম্যাথিউস। ১৯ রানে অপরাজিত আছেন কিপার-ব্যাটসম্যান নিরোশান ডিকভেলা। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক চান্দিমাল আউট হন ৫২ করে।
উইকেট থেকে তেমন সহায়তা না পেলেও দারুণ বোলিং করেন স্টুয়ার্ট ব্রডের জায়গায় একাদশে ফেরা অ্যান্ডারসন। অভিজ্ঞ এই পেসার ২৪ রানে নেন ৩ উইকেট। তার ১৯ ওভারের ১০টিই মেডেন। অন্য উইকেটটি আরেক পেসার মার্ক উডের। দুই স্পিনার জ্যাক লিচ ও ডম বেস অতটা কার্যকর ছিলেন না।
টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। ইনিংসের পঞ্চম আর নিজের তৃতীয় ওভারে জোড়া আঘাত হানেন অ্যান্ডারসন। বাজে শটে উইকেট উপহার দেন কুসল পেরেরা। চোট কাটিয়ে ফেরা ওশাদা ফার্নান্দো খুলতে পারেননি রানের খাতা। বোল্ড হন তিনি বল স্টাম্পে টেনে এনে।
৩ উইকেট নিয়ে প্রথম দিন ইংল্যান্ডের সফলতম বোলার জেমস অ্যান্ডারসন। ছবি: ইংল্যান্ড ক্রিকেট
শ্রীলঙ্কার তখন ৭ রানে নেই ২ উইকেট। সেখান থেকে প্রতিরোধ গড়েন লাহিরু থিরিমান্নে ও ম্যাথিউস। লাঞ্চের আগে আর কোনো বিপদ হতে দেননি তারা দুজন।
বিরতি থেকে ফিরে দ্বিতীয় বলেই ওপেনার থিরিমান্নেকে কট বিহাইন্ড করে ৬৯ রানের জুটি ভাঙেন অ্যান্ডারসন। টেস্টে অষ্টমবার এই ইংলিশ পেসারের শিকার হওয়া থিরিমান্নের ৯৫ বলে ৪৩ রানের ইনিংস গড়া ৫টি চারে।
চতুর্থ উইকেটে চান্দিমালের সঙ্গে শতরানের জুটিতে দলকে এগিয়ে নেন ম্যাথিউস। চা বিরতির আগে তিনি ফিফটি পূর্ণ করেন ৮৯ বলে। বিরতির পর পঞ্চাশ স্পর্শ করেন চান্দিমাল। তবে ইনিংস আর বড় করতে পারেননি তিনি। দারুণ এক ইন-সুইঙ্গারে তাকে এলবিডব্লিউ করে ১১৭ রানের জুটি ভাঙেন উড, সিরিজে তার প্রথম উইকেট।
ডিকভেলাকে সঙ্গী করে সেঞ্চুরিতে পা রাখেন ম্যাথিউস। ৯৯ থেকে লিচের বল পয়েন্টে ঠেলে সিঙ্গেল নিয়ে ক্যারিয়ারের একাদশ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি ২০৭ বলে। ২০১৫ সালের পর দেশের মাটিতে এই প্রথম তিন অঙ্কের দেখা পেলেন সাবেক অধিনায়ক।
দ্বিতীয় নতুন বলেও ম্যাথিউস-ডিকভেলাকে টলাতে পারেনি ইংলিশ বোলাররা। ৩৬ রানের জুটিতে অবিচ্ছিন্ন আছেন এই দুজন। ম্যাথিউসের ২২৮ বলে ১০৭ রানের ইনিংস গড়া ১১টি চারে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ৮৭ ওভারে ২২৯/৪
(থিরিমান্নে ৪৩, কুসল পেরেরা ৬, ওশাদা
ফার্নান্দো ০, ম্যাথিউস ১০৭*, চান্দিমাল
৫২, ডিকভেলা ১৯*; অ্যান্ডারসন
১৯-১০-২৪-৩, কারান ১১-২-৩৬-০, লিচ
২২-৩-৬৬-০, উড ১৭-২-৪৭-১, বেস
১৮-১-৫৪-০)।