শুক্রবার রাজধানীর মিরপুর বড়বাগ বাজার
ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের চেয়ে চিনির দাম কেজিতে অন্তত ৫ টাকা এবং ময়দার দাম
অন্তত ২ টাকা বেড়েছে।
মুদি দোকানি মিজান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর
ডটকমকে বলেন, বাজারে প্যাকেট চিনির দাম প্রতি কেজি ৭০ টাকা,
খোলা চিনির দামও ৭০ টাকা। তাই তিনি আপাতত
খোলা চিনি বাদ দিয়ে প্যাকেট চিনি বিক্রি করছেন।
“এক মাস আগেও মিরপুর-১ নম্বর বাজার থেকে
২৭৫০ টাকায় ৫০ কেজির বস্তা কিনেছি। তখন খোলা চিনির দাম ছিল প্রতি কেজি ৬০/৬২
টাকা। এখন চিনির বস্তা ৩১৫০ টাকা থেকে ৩২০০ টাকা হয়েছে। কেন এরকম হল সেটাই বুঝছি না।”
দাম বৃদ্ধির বিষয়ে কারওয়ান বাজারে
পাইকারি দোকান সোনালী ট্রেডার্সের পরিচালক আবুল কাশেম বলেন, গত সপ্তাহে চিনির দাম বেড়ে প্রতি বস্তা ৩২০০ টাকা হয়েছে। তবে
সরবরাহ ঘাটতির কারণে ময়দার দাম ধীরে ধীরে বাড়ছে।
“ময়দার মিলগুলোতে ট্রাক ১৫/১৬ দিন ধরে
অপেক্ষায় রয়েছে। এর প্রভাবে বাজারে সংকট শুরু না হলেও প্রতিবস্তা ময়দার দাম একশ
থেকে দেড়শ টাকা বেড়ে ১৬০০ টাকায় উঠেছে।”
এই বিক্রেতা জানান,
বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহও কমতে শুরু
করেছে। কারণ এখন খোলা সয়াবিন তেলের দাম বোতলজাত সয়াবিন তেলের চেয়ে বেশি।
“বাজারে ভালো মানের খোলা সোয়াবিন তেল
বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৩০ টাকা। যেখানে বোতলের সয়াবিন তেলের সর্বোচ্চ বিক্রয়
মূল্য লেখা রয়েছে প্রতি কেজি ১২০ টাকা থেকে ১২৫ টাকা। ৫ লিটার সয়াবিন তেলের
মূল্য ৬৩০ টাকা যা বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকায়। এক সপ্তাহ ধরে সয়াবিন তেলের বোতলের
সরবরাহ নেই।”
বাজারের দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে।
প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকায়,
আমদানি করা পেঁয়াজ ২৫ টাকায়। ভারতীয়
পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলেও বাজারে এর কাটতি নেই। তাই দোকানিরাও সেই পেঁয়াজ
রাখেননি।
এদিন কারওয়ান বাজারের পাইকারি
দোকানগুলোতে ঘুরে কোথাও ভারতীয় পেঁয়াজ দেখা যায়নি। রাজবাড়ী অঞ্চল থেকে আাসা
একই মানের (ক্রস জাতের) পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৩০ টাকা।
গত এক সপ্তাহ ধরে হিলি,
বেনাপোল ও ভোমরা স্থলবন্দর হয়ে দেশে
ভারতীয় চাল ঢোকা শুরু করেছে। ফলে বিভিন্ন রকম চালের দাম একটু একটু করে কমছে বলে
বিক্রেতারা জানিয়েছেন।
প্রতি কেজি সর্বনিম্ন ৬০ টাকায় পাওয়া
যাচ্ছে মিনিকেট, নাজির
বিআর ২৮ পাওয়া যাচ্ছে ৫৪/৫৫ টাকায়।
বাজারে নতুন করে উঠানামা করেছে ডিমের দাম।
ফার্মের লাল ডিমের দাম প্রতি ডজন ৯০ টাকা থেকে কমে ৮০ টাকায় নেমেছে। সাদা ডিমের
ডজন ৭৬ থেকে ৭৮ টাকা। অন্যদিকে হাঁসের ডিমের ডজন ১৫০ টাকা থেকে বেড়ে ১৬০ টাকা
হয়েছে।
তেজগাঁওয়ে ডিমের পাইকারি আড়ৎদার মনিরুল
ইসলাম জানান, ফার্মের
মুরগির ডিমের দাম অনেক কমে গেছে। অন্যদিকে চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে হাঁসের
ডিমের দাম অনেক বেড়ে গেছে। সাধারণত শীতের দিনে হাঁসের ডিমের দাম আরো কম থাকে।
পাইকারিতে হাঁসের ডিমের শতক ১০৭০ টাকা ১০৮০ টাকা। আর মুরগির ডিমের শতক ৫৭০ টাকা
থেকে ৬০০ টাকা। ফার্মের মুরগির ডিমের দাম এত কমে গেলে ফার্ম মালিকদের লাভ করা কঠিন
হয়ে যাবে। তবে চাহিদার বাড়ার কারণে হাঁসের
ডিমের দাম অনেক বেড়ে গেছে।