অ্যানফিল্ডে বৃহস্পতিবার ম্যাচের শেষ দিকে অ্যাশলি বার্নসের সফল স্পট কিকে ১-০ ব্যবধানে হারে ক্লপের দল।
লিগে এ নিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচ জয়হীন লিভারপুল। শেষ চার ম্যাচে নেই গোলের দেখা। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থান থেকে নেমে গেছে চারে। শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে তারা পিছিয়ে পড়েছে শীর্ষে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের চেয়ে ৬ পয়েন্টে।
লিভারপুলের ঘরের মাঠে লিগে টানা ৬৮ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ডে যতিচিহ্ন বসিয়ে দেয় পয়েন্ট তালিকার নিচের দিকে থাকা বার্নলি। এমন হার মানতে পারছেন না ক্লপ। ম্যাচ শেষে লুকাননি হতাশাও।
“এটা বিশাল, বিশাল বড় আঘাত…দায়টা আমার। এটাই সহজ ব্যাখ্যা।”
ধারাবাহিক ব্যর্থতা লিভারপুলের শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্যে কতটা প্রভাব ফেলল?- এমন প্রশ্নের জবাবে ক্লপ বলেন, এমন বাজে ফর্মের ভেতরে থেকে শিরোপা নিয়ে আলোচনা করাটা তার কাছে বোকামি মনে হচ্ছে।
প্রিমিয়ার লিগে ঘরের মাঠে টানা ৬৮ ম্যাচ পর হারের তেতো স্বাদ পায় লিভারপুল।
“বার্নলির বিপক্ষে হারলাম, শেষ তিন বা চার ম্যাচে আমরা গোল পাইনি…এই অবস্থায় শিরোপা দৌড় নিয়ে কথা বলব? বিষয়টা কেমন বোকামির হবে?”
সমস্যাটা আক্রমণভাগে বলে মনে করেন ক্লপ। সাদিও মানে, মোহামেদ সালাহ, রবের্তো ফিরমিনোদের মতো তারকাদের নিয়ে গড়া আক্রমণভাগ হঠাৎ করেই যেন পথ হারিয়ে ফেলেছে। গোল না পাওয়ার সে দায়টাও অবশ্য পরোক্ষভাবে নিজের কাঁধেই নিলেন তিনি।
“বক্সে তিনটা ক্রস নেওয়া হল, লক্ষ্য ছিল বক্সে একজন খেলোয়াড়, কিন্তু পাওয়া যায়নি। ছেলেরা যেন সঠিক সময় সঠিক জায়গায় থাকে, সেটা নিশ্চিত করা আমার কাজ।”
গত ১৯ ডিসেম্বর ক্রিস্টাল প্যালেসকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার পর থেকেই বাজে সময় শুরু লিভারপুলের। এরপর পাঁচ ম্যাচে তিন ড্র, দুই হার। এমন দশার কোনো ব্যাখ্যা নেই ক্লপের কাছে।
৭২ শতাংশ বলের দখল রেখে গোলের উদ্দেশে এই ম্যাচে ২৭টি শট নেয় লিভারপুল, ছয়টি ছিল লক্ষ্যে। খেলোয়াড়দের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি দেখছেন ক্লপ।
“খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাসে যে কমতি আছে, তা আমার মনে হয় না আলাদা করে বলার দরকার আছে। বিশেষ কিছু মুহূর্তে যা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।”
দলের মনোবল শক্ত করায় জোর দিচ্ছেন ক্লপ। পরের ম্যাচের আগে যদিও খুব একটা সময় পাচ্ছেন না তিনি। এফএ কাপের চতুর্থ রাউন্ডে রোববার তার দলের প্রতিপক্ষ ছন্দে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। চার দিন পর লিগে টটেনহ্যাম হটস্পারের বিপক্ষে খেলবে ২০১৮-১৯ মৌসুমে ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা।