ক্যাটাগরি

শার্শার ‘অপহৃত’ শিশুর খোঁজ মেলেনি দুদিনেও

পুলিশ বলছে, শিশুটিকে উদ্ধারে তাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে; তবে সিসিটিভির ফুটেজে ওই নারীর ছবি অস্পষ্ট হওয়ায় খুঁজতে বেগ পেতে হচ্ছে।

শিশু তাসিন উপজেলার রুদ্রপুর গ্রামের আশরাফুল ইসলামের ছেলে।  

তাসিনকে অপহরণ করা হয়ে অভিযোগ করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে আশরাফুল বলেন, “অপরিচিত এক নারী ১৫ দিন আগে আমাদের বাসায় এসে মাতৃত্বকালীন কার্ড করে দেবে বলে জানায়। সকালে বাসায় এসে আমার স্ত্রী ও আমার বাবাকে বাগআঁচড়া বাজারে নিয়ে যায়।

সেখানে নাশতা করার জন্য রেস্তোরাঁয় যায় সবাই। আমার স্ত্রী ও আমার বাবা নাশতা করার সময় ওই নারী আমার ছেলেকে কোলে নিয়ে রেস্তোরাঁর বাইরে যায়। পরে তাকে আর পাওয়া যায়নি।”

এদিকে তাসিনকে হারিয়ে আশরাফুলের বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে এসছে।

শুক্রবার সকালে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, একমাত্র ছেলে হারানোর শোকে মা জান্নাতুল ফেরদৌস (২০) বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। প্রতিবেশী ও স্বজনরা শত চেষ্টা করেও তাকে স্বাভাবিক করতে পারছে না। নাতি হারোনোর শোকে দাদি রাবেয়া খাতুনও (৫০) পাগল প্রায়।

জান্নাতের বাবা শফিকুল ইসলাম সাংবাদিদের বলেন, “সন্তান হারানোর পর থেকে দানাপানি মুখে দেয়নি জান্নাত। সবাই চেষ্টা করছি তবুও তার কিছুই খাওয়ানো যাচ্ছে না। বার বার সে জ্ঞান হারাচ্ছে। কারো সান্তনা সে মানছে না।”

তাসিনের দাদি রাবেয়া খাতুন বলেন, “সন্তান জন্মের আগে থেকেই ওই নারী আমাদের বাড়ি আসতো। গর্ভকালীন ভাতা দেবে বলে আমাদের বলত। তার ফাঁদে পড়ে আমাদের এই সর্বনাশ হল। পুলিশ কচ্ছে আমরা খুজ্জি, তয় আমাদের মন তো মেনতেছ না।”

এ বিষয়ে বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক (তদন্ত) উত্তম কুমার বিশ্বাস বলেন, পুলিশ সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। ওই নারীকে চিহ্নিত করার পাশাপাশি শিশুটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

“তবে ওই নারীর কোনা নাম-পরিচয় না থাকায় এবং সিসিটিভির ফুটেজে ওই নারীর ছবি অস্পষ্ট হওয়ায় খুঁজতে বিলম্ব হচ্ছে।”