ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মিরাজের শিকার ২৫ রানে ৪ উইকেট। তার ৪৩ ম্যাচের ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং।
৪ উইকেট তিনি একবারই পেয়েছিলেন আগে। সেটিও ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে সিলেটে। সেবার রান দিয়েছিলেন ২৯।
সাম্প্রতিক সময়ে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তার পারফরম্যান্স ও সামর্থ্য হয়ে পড়ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। দলে জায়গাও ছিল নড়বড়ে। এই সিরিজের শুরু থেকে সেরা একাদশে জায়গা না পেলেও তা বিস্ময়কর হতো না। ভালো কিছু করা তাই জরুরি ছিল তার জন্য।
যদিও প্রতিপক্ষ যথেষ্ট দুর্বল, খর্বশক্তির এই ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের ক্রিকেটাররা স্পিনে বেশি নড়বড়ে। উইকেট ও কন্ডিশনও পক্ষে বোলারদের। তবে সেসবে তো মিরাজের কিছু করার নেই। তার নিয়ন্ত্রণে কেবল নিজের পারফরম্যান্স। সেটি তিনি করতে পারলেন বেশ ভালোভাবেই।
প্রথম ম্যাচে নিজের পারফরম্যান্সে যদিও সন্তুষ্ট ছিলেন না তিনি। দ্বিতীয় ম্যাচে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ের পর ম্যাচের মাঝ বিরতিতে বললেন, অনেকের সঙ্গে কথা বলে এই ম্যাচে তিনি মেলে ধরতে পেরেছেন নিজেকে।
“আজকের পারফরম্যান্সে আমি খুশি। প্রথম ম্যাচে যে জায়গায় বোলিং করেছি, তাতে খুশি হতে পারিনি। ম্যাচের পর অধিনায়ক, সাকিব ভাইসহ সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছেন কোন জায়গায় বোলিং করতে হবে।”
“বিশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমাদের স্পিন কোচ সোহেল ভাইকে। তার সঙ্গেও কথা বলেছিলাম, তিনি আমাকে বলেছেন কোন জায়গায় বল করতে হবে এবং কী করতে হবে। আমি সেভাবেই চেষ্টা করেছি।”
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বোচ্চ রান স্কোয়ার রভম্যান পাওয়েলকে স্টাম্পড করে মিরাজ পূর্ণ করেন চতুর্থ উইকেট। পাওয়েল এর আগে বেরিয়ে এসে ছক্কা মেরেছিলেন মিরাজকে। এই ব্যাটসম্যানকে বিভ্রান্ত করে আউট করার পেছনের গল্পও শোনালেন মিরাজ।
“তাকে বেরিয়ে আসতে দেখেই আমি লেংথে বদল আনি। আমাদের উইকেটকিপার, অধিনায়ক ও সাকিব ভাই আগেই বলেছিল, ব্যাটসম্যান বেরিয়ে আসতে পারে। আমার মাথায় সেটা ছিল।”