টিকাদান কর্মসূচি আরও ত্বরান্বিত করা এবং পরীক্ষা বাড়ানো ছাড়াও মাস্কের মতো জরুরি স্বাস্থ্যসুরক্ষা সরঞ্জামের উৎপাদন আরও বাড়ানোর পদক্ষেপ রয়েছে এর মধ্যে।
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬ তম প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেওয়ার পরদিনই বাইডেন এ উদ্যোগ নিয়ে বলেছেন, ‘যুদ্ধকালীন তৎপরতায়’ পরিস্থিতি মোকাবেলা করা হবে।
তিনি বলেন, “আজকের পরিস্থিতি একদিনে সৃষ্টি হয়নি, তাই এ থেকে বেরিয়ে আসতেও কয়েকমাস সময় লাগবে। সবাই একসঙ্গে কাজ করলে আমেরিকা এ থেকে বের হয়ে আসতে পারবে।”
টিকাদান কর্মসূচি এ পর্যন্ত সফলতার মুখ দেখেনি উল্লেখ করে বাইডেন বলেন, তার প্রথম ১০০ দিনের মধ্যে ১০ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে।
বিবিসি জানায়, কোভিড-১৯ মোকাবেলা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার পর্যায়ে কোনও কৌশল নির্ধারিত না থাকায় সমালোচিত হয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন।
বাইডেন এবার তার নীতিমালায় জাতীয় কৌশলকে গুরুত্ব দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে কী করা সবচেয়ে ভাল হবে সে সিদ্ধান্তের জন্য রাজ্যগুলোর ওপর আর নির্ভর করার প্রয়োজন পড়বে না।
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যমতে, করোনাভাইরাস সংক্রমণে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে চার লাখ ছয় হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সংক্রমিত হয়েছেন প্রায় আড়াই কোটি মানুষ।
বাইডেনের পরিকল্পনায় ১০০ দিনের মধ্যে নিরাপদ ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে বেশিরভাগ স্কুল খুলে দেওয়াসহ বিভিন্ন স্টেডিয়ামে এবং কমিউনিটিতে টিকাকেন্দ্র স্থাপনের পদক্ষেপ রয়েছে।
সরকারি বিভিন্ন কার্যালয়, বিমানবন্দর, বিমান, ট্রেন এমনকী বাসেও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
তাছাড়া, বাইরের কোনও দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য করোনাভাইরাস নেগেটিভ সনদ দেখানো এবং যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর পর ১৪ দিন সেলফ কোয়ারেন্টিনে থাকার নিয়মও জারি হয়েছে।