গোপালগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক কাজী শহিদুল ইসলাম বৃহস্পতিবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, শনিবার (২৩ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে গৃহহীন-ভূমিহীনদের মুজিববর্ষের এ উপহার তুলে দেবেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত সোনারবাংলা বিনির্মাণে মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রায়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না। প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য গোপালগঞ্জে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য ৭৮৭টি ঘর প্রস্তুত করা হয়েছে।
“ইতিমধ্যে উপকারভোগীদের নির্বাচন করা হয়েছে। পরিবার প্রতি ২ শতাংশ খাস জমি বন্দোবস্ত দিয়ে কবুলিয়ত সম্পন্ন করে দেওয়া হয়েছে।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন এসব ঘর বাস্তবায় করেছে বলে জানান শহিদুল।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোসাম্মৎ শাম্মি আক্তার, মো. উসমান আলী, মো. ইকবাল হেসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাশেদুর রহমান, এনডিসি মিলন সাহাসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাশেদুর রহমান জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রায়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় ২ শতাংশ খাস জমির ওপর ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয়ে দুই কক্ষ বিশিষ্ট পাকা ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। প্রতিটি ঘরের সঙ্গে ওয়াশ রুম, রান্নাঘর ও রারান্দা রয়েছে।
ইতিমধ্যে উপকারভোগীদের খাস জমি বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
উপকারভোগী গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানিকদহ গ্রামের সাদেক বিশ্বাস (৬০) বলেন, “আমি ২ বার নির্বাচিত সাবেক ইউপি সদস্য। মামলায় পড়ে আমার বসতবাড়ি ও জমি-জমা চলে গেছে। প্রধানমন্ত্রী আমাকে ২ শতাংশ জায়গা দিয়েছেন। এতে আমার নতুন ঠিকানা হবে। সবাইকে নিয়ে ঘরে মাথা গোঁজার ঠাঁই পাব।”
মানিকদহ গ্রামের আঞ্জু বেগম (৩৫) বলেন, “আমাদের জায়গা নেই ঘরও নেই। স্বামী-সন্তান নিয়ে অনেক কষ্টে থাকতাম। প্রধানমন্ত্রী আমাদের জায়গা ও পাকা ঘর দিয়েছেন। এখানে সবাইকে নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকতে পারব।”
ঘর নির্মাণ কাজের তত্ত্বাবধায়ক ইমরুল খান বলেন, “ঘরের মূল কাজ শেষ হয়েছে। এখন আমরা ফিনিশিং এর কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের আগেই ঘরগুলোর সব কাজ শেষ হবে।”