শুক্রবারের এই টুইটার পোস্টে দেখা যায়, যুদ্ধবিমান বা বিশাল এক চালক বিহীন বিমান (ড্রোন) এর ছায়ার নিচে ট্রাম্পের মতো দেখতে এক ব্যক্তি গলফ খেলছেন।
টুইটটির ক্যাপশনে খামেনির ১৬ ডিসেম্বরে দেওয়া এক বক্তব্যের উদ্ধৃতি তুলে ধরে লেখা হয়েছে, ‘প্রতিশোধ অবশ্যম্ভাবী’।
“সোলেমানির হত্যাকারী এবং এ হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ যিনি দিয়েছেন তাকে এর মূল্য দিতে হবে। এই প্রতিশোধ যথাসময়েই নেওয়া হবে।”
টুইটের ছবিটি খামেনির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটেও দেখা গেছে। খামেনির ঘনিষ্ঠ মহলের এক কর্মকর্তা বলেছেন, এই টুইটের লক্ষ্য হচ্ছে ট্রাম্পকে একথা মনে করিয়ে দেওয়া যে, তিনি ক্ষমতায় নেই বলেই নিরাপদে থাকবেন তা নয়, আর ইরানও তাদের শহীদ সোলেমানিকে ভুলে যাবে না।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির পর দেশটির সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে আলোচিত নাম মেজর জেনারেল কাসেম সোলেমানি। তিনি ছিলেন ইরানের বিপ্লবী গার্ডস বাহিনীর এলিট ইউনিট কুদস ফোর্সের প্রধান।
ছবি: টুইটার
গত বছর ৩ জানুয়ারি ইরাকের বাগদাদ বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় সোলেমানি নিহত হন। পেন্টাগনের দাবি, ইরাকসহ আশপাশের অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিক এবং কর্মকর্তাদের ওপর হামলার পরিকল্পনা করছিলেন সোলেমানি।
ট্রাম্পের নির্দেশে মার্কিন বাহিনী বিদেশে তাদের সদস্যদের সুরক্ষার স্বার্থে ‘প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা হিসেবে’ কাসেম সোলেমানিকে হত্যা করেছে। তবে ইরান ওই পরিকল্পনার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
সোলেমানি হত্যার পরপরই ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে এর জবাব দিয়েছিল ইরান। আরও হামলা চালিয়ে প্রতিশোধ নেওয়ারও হুমকি দিয়েছিল দেশটি। খামেনিও বলেছিলেন, অপরাধীদের জন্য দাঁতভাঙা জবাব অপেক্ষা করছে।
এরপর সোলেমানি হত্যার একবছর পূর্তির সময় গতবছর ডিসেম্বরে আবার নতুন করে প্রতিশোধের হুমকি দিয়েছিলেন খামেনি। এবারের টুইটেও সেই একই হুমকি দিয়ে ‘প্রতিশোধ’ কথাটি চিহ্নিত করা হয়েছে লাল রঙ দিয়ে।
শুক্রবার টুইটার একাউন্টের ওই পোস্ট নিয়ে অনেকে আপত্তি তোলার পর টুইটার কর্তৃপক্ষ ‘খামেনি-সাইট’ একাউন্ট বন্ধ করে দেয় এবং এটি ভুয়া বলেও জানায়। তবে ইরানের কর্মকর্তারা পোস্টটি নিয়ে তাৎক্ষণিক কোনও মন্তব্য করেননি।
টুইটটি এরপর আবার খামেনির মূল ফার্সি ভাষার একাউন্ট ‘খামেনি-ফা’- তে রিটুইট করা হয়। যদিও পরে এটি ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়েছে।