রয়টার্স জানিয়েছে, কয়েক মাস দর কষাকষির পর গুগল ফ্রান্স ও ফ্রান্সের প্রকাশকদের জোট বৃহস্পতিবার একটি ঐকমত্যে পৌঁছানোর ওই ঘোষণা দেয়।
এর ফলে ফ্রান্সের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে গুগল এখন আলাদা চুক্তিতে যাবে। ছাপা সংবাদপত্রের বিক্রি পড়ে যাওয়ায় এসব সংবাদমাধ্যমের অনেকগুলোই এখন বেকায়দায় আছে।
গুগল আর অ্যালায়েন্স ডি লা প্রেস ডি’ইনফরমেশন জেনারেলের (এপিআইজি) এই সমঝোতার ফলে সংবাদ প্রকাশকরা তাদের কনটেন্টের কপিরাইট বাবদ কী পরিমাণ টাকা পাবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে গুগল বলছে, এর মধ্য দিয়ে প্রকাশকদের টাকা দেওয়ার একটি টেকসই পথ তৈরি হল।
গুগল ও এপিআইজির যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রতিদিন প্রকাশিত কনটেন্টের পরিমাণ, ইন্টারনেটে মাসিক পাঠক এবং রাজনৈতিক ও সাধারণ তথ্য সরবরাহে ভূমিকা বিবেচনা করা হবে সংবাদ প্রকাশকদের সঙ্গে চুক্তি করার ক্ষেত্রে।
এই সমঝোতার আগেই ফ্রান্সের দৈনিক পত্রিকা লে মন্দ, লে ফিগারোসহ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাদাভাবে এরকম চুক্তিও করেছে গুগল। এপিআইজির সঙ্গে কপিরাইট ফ্রেমওয়ার্কের বিষয়ে আলোচনাতেও বিষয়টি আমলে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে গুগল।
রয়টার্স লিখেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কপিরাইন আইন অনুযায়ী, সংবাদ প্রকাশকরা অনলাইন সার্চে তাদের সংবাদ বা সংবাদের অংশ দেখানোর জন্য একটি টাকা দাবি করতে পারেন সার্চ ইঞ্জিন বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কাছে।
সেই আইনের মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশকরা কীভাবে টাকা পেতে পারেন, তা নিয়ে গুগলের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে দর-কষাকষি চলছিল ফ্রান্সের সংবাদমাধ্যমগুলোর।
গুগল প্রথমে টাকা দিতে অস্বীকার করে বলেছিল, তাদের মাধ্যমে সংবাদমাধ্যমগুলোর খবর বহু পাঠকের কাছে পৌঁছায়, তাতে সংবাদমধ্যমগুলোই উপকৃত হয়।
কিন্তু একটি ইউরোপীয় আদালত গতবছর গুগলকে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশকদের সঙ্গে আলোচনায় বসার নির্দেশ দেয়। তারপরই এপিআইজির সঙ্গে তাদের আলোচনা শুরু হয়।
ফ্রান্সের প্রকাশকদের সঙ্গেও সমঝোতায় গেলেও অস্ট্রেলিয়ায় অনমনীয় অবস্থান বজায় রেখে পাল্টা হুমকি দিয়েছে গুগল।
সার্চ ইঞ্জিন বা সামাজিক মাধ্যমে সংবাদ কনটেন্ট প্রকাশ ও প্রচারের মাধ্যমে যারা মুনাফা করে, তার ভাগ অস্ট্রেলিয়ার প্রকাশকদের দেওয়ার নিয়ম রেখে আইন করার উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির সরকার। কিন্তু গুগল বলেছে, ওই আইন হলে তারা অস্ট্রেলিয়ায় সার্চ ইঞ্জিন সেবা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে।