এমনকি তারা যদি পারিবারিক সূত্রে কোনো সম্পদ বা ব্যবসার অংশীদার হন, সে তথ্যও তাদের নিয়মিত দাখিল করতে হবে।
প্রতি বছরের ২০ জানুয়ারির মধ্যে আগের বছরের ব্যবসায়িক স্বার্থ সংশ্লিষ্টতার বিবরণ সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে দিতে হবে। আর চলতি বছর সেই হিসাব দেওয়ার জন্য ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় পাবেন ব্যাংক কর্তারা।
বৃহস্পতিবার রাতে এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকের চেয়ারম্যান, পরিচালনা পর্ষদ এবং প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
যদিও ব্যাংক কোম্পানি আইনে দীর্ঘদিন ধরেই এসব তথ্য দেওয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল। তবে বাস্তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা মান হত না।
সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ব্যাংকের পরিচালক ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য নিয়ে আলোচনার মধ্যেই বাংলাদেশ ব্যাংক ওই নিয়ম কার্যকর করার উদ্যোগ নিল।
আর এমন এক সময়ে ব্যাংকগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থার এই নির্দেশনা এল যখন খোদ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিষয়েই তথ্য চেয়েছে আদালত।
অর্থ পাচার রোধ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তদারক-নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংকের আভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগে গত এক যুগে কোন কোন কর্মকর্তা দায়িত্বে ছিলেন, তাদের নাম, পদবী, ঠিকানাসহ বিস্তারিত জানতে চেয়ে বৃহস্পতিবার ওই আদেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
অর্থপাচার রোধে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তার ব্যর্থতা আছে কি না, ব্যর্থ হয়ে থাকলে কেন হলেন, অর্থপাচারের বিষয়টি তারা টের পেয়েছিলেন কি না, পেয়ে থাকলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন কি না, তাদের ইন্ধন বা যোগসাজশে অর্থপাচার হয়েছে কি না, তাও জানাতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
দেশের সব ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিচালনা পর্ষদকে পাঠানো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, ব্যাংক কোম্পানি আইনের ১৮ ধারার (২) উপধারা অনুযায়ী ব্যাংক-কোম্পানির প্রত্যেক পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী ও তার নিম্নতর দুই স্তর পর্যন্ত কর্মকর্তার নিজের বাণিজ্যিক, আর্থিক, কৃষি, শিল্প ও অন্যান্য ব্যবসার নাম, ঠিকানা ও অন্য বিবরণ এবং পারিবারিক ব্যবসায়িক স্বার্থসংশ্লিষ্টতার বিবরণ প্রতি বছর লিখিতভাবে পরিচালনা পর্ষদকে জানানোর বাধ্যবাধকতা আছে।
ব্যাংক কোম্পানি আইনের এই বিধান পরিপালনের জন্য এখন থেকে প্রতি পঞ্জিকা বছর শেষে পরবর্তী বছরের ২০ জানুয়ারির মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে ওই বিবরণ দাখিল করতে হবে।
“তবে, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ সমাপ্ত বছরের জন্য এ-সংক্রান্ত বিবরণীসমূহ চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ব্যাংকে দাখিল করা যাবে। দাখিলকৃত বিবরণীসমূহ পরবর্তী পর্ষদ সভায় উপস্থাপন করতে হবে। ব্যাংক-কোম্পানি কর্তৃক এই বিবরণীসমূহ যথাযথভাবে সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে। “