২০১৭ সালের মার্চ শ্রীলঙ্কায় অনেকটা নাটকীয়ভাবে ওয়ানডে
অভিষেক হয় আগের বছর টেস্ট অভিষেকে ক্রিকেট বিশ্বকে চমকে দেওয়া মিরাজের। প্রস্তুতি
ম্যাচে শুভাগত হোমের বিবর্ণ পারফরম্যান্সের পর দেশ থেকে ডেকে নেওয়া হয় তাকে।
শুরুতে দারুণ বোলিং করা মিরাজ পরে সামলেছেন কঠিন সময়।
উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে যাওয়া ক্যারিয়ারে দেখিয়েছেন লড়াইয়ের মানসিকতা। তার
অভিষেকের পর থেকে ৫৭টি ওয়ানডে খেলেছে বাংলাদেশ। এর ৪৩টিতে খেলেছেন মিরাজ। ৩৭.৩১ গড়ে
নিয়েছেন ৪৫ উইকেট। ৪ উইকেট দুইবার, দুটোই ওয়েস্ট ইন্ডিজের
বিপক্ষে।
অফ স্পিনিং অলরাউন্ডারের অভাব নেই বাংলাদেশের। জাতীয় দলের
আশেপাশে আছেন অনেকেই। তরুণ অফ স্পিনার নাঈম হাসান এরই মধ্যে টেস্টে মিরাজকে
চ্যালেঞ্জ জানাতে শুরু করেছেন। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে আছেন আফিফ হোসেন, মেহেদি হাসানরা।
সিরিজ শুরুর আগে বেশ চাপে থাকা মিরাজ এখন স্বস্তিতে।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ২৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে জিতেছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। ৭ উইকেটে
জয়ের পর এই তরুণ জানালেন, টিকে থাকতে যে নিজেকে মেলে ধরার কোনো
বিকল্প নেই ভালো করেই জানা আছে তার।
“একটা জিনিস দেখেন, আন্তর্জাতিক
ক্রিকেটে পারফর্ম করে খেলতে হবে। আমি যদি ভালো না করি তাহলে আমাকে জায়গা ছেড়ে দিতে
হবে। আরেকটা খেলোয়াড়কে সুযোগ দেওয়া হবে।”
“এখন প্রতিযোগিতা অনেক বেশি, সব
খেলোয়াড়ের প্রতিযোগিতা করে খেলতে হচ্ছে। দিন শেষে আমার নিজের সঙ্গে নিজের
প্রতিযোগিতাটা বেশি। কে বসে আছে বা খেলছে না সেটা আমি চিন্তা করি না। আমি সবসময়ই
চেষ্টা করি নিজের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার জন্য। যদি নিজের সাথে নিজে জিতি তাহলে
অনেক ভালো অনুভব করি, খুশি থাকি।”