একই সময়ে ওয়ানডে দলের সঙ্গে বাংলাদেশে এসে জোরেশোরে প্রস্তুতি নিচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট স্কোয়াড। এই সংস্করণে অন্তত প্রস্তুতিতে স্বাগতিকদের চেয়ে বেশ এগিয়ে তারা।
সবশেষ বাংলাদেশে এসে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশড হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেবার স্বাগতিকদের স্পিন চতুষ্টয়ের জবাব খুঁজে পায়নি তারা। এবার ওয়ানডেতেও স্পিনে ভুগছে দলটি। তারওপর করোনাভাইরাস আতঙ্কে সফরে আসেননি নিয়মিতদের অনেকে। এরপরও টেস্টে ভালো কিছু আশা করছেন সিমন্স। কন্ডিশনের সঙ্গে কতটা মানিয়ে নিতে পারলেন ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট, জার্মেইন ব্ল্যাকউডরা, তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে দেখে নিতে চান ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোচ।
“ওয়ানডে দলে থাকা পাঁচ জন ছাড়া ১০ জন নিজেদের খেলা নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করছে। ওরা কোন পর্যায়ে আছে সেটা প্রস্তুতি ম্যাচে দেখতে পারব।”
ঢাকায় টানা দুই ম্যাচ হেরে ওয়ানডে সিরিজ খোয়ানো ওয়েস্ট ইন্ডিজ এখন চট্টগ্রামে। তৃতীয় ওয়ানডেতে খেলার পর এখানেই হবে প্রথম টেস্ট। এক সংস্করণে ব্যর্থতার পর আরেক সংস্করণের দিকে আগ্রহ ভরে তাকিয়ে আছেন সিমন্স।
“যে কন্ডিশন আর যে পরিবেশে আমরা আছি এখানে ক্রিকেট খেলতে হলে মানসিকভাবে খুব দৃঢ় হতে হবে। আমরা দেখব অমন দৃঢ়তা কার কার আছে, কে বা কারা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারে। নতুন কয়েক জন আছে এখানে, কয়েক জনের অভিষেক হতে পারে। দেখা যাক, কে এই চ্যালেঞ্জ নিতে পারে এবং কারা দুই টেস্টের সিরিজে ভালো করে।”
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে আগামী সোমবার হবে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে। ৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে প্রথম টেস্ট।