ক্যাটাগরি

থেমে গেল ল্যারি কিংয়ের কণ্ঠ

খ্যাতনামা এই টিভি ব্যক্তিত্ব ৮৭ বছর বয়সে শনিবার মারা গেছেন। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন।

‘ল্যারি কিং নাও’ ও ‘পলিটিকিং উইথ ল্যারি কিং’ অনুষ্ঠানের প্রযোজক কোম্পানি ওরা মিডিয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিনে জন্ম নেওয়া সদালাপী এই উপস্থাপক লস অ্যাঞ্জেলসের সিডার-সিনাই মেডিকেল সেন্টারে মারা গেছেন।

সিএনএন জানিয়েছে, ল্যারি কিংয়ের ফেইসবুক পাতায় তার মৃত্যুর খবর জানানো হয়।

চলতি মাসের প্রথমদিকে কোভিড-১৯ আক্রান্ত কিং-কে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।  

একটানা ২৫ বছর সিএনএনে ‘ল্যারি কিং লাইভ’ টক শোটি চালিয়ে এসেছিলেন ল্যারি কিং।

১৯৭০ এর দশকে বাণিজ্যিক নেটওয়ার্ক মিচুয়াল ব্রডকাস্টিং সিস্টেমে তার রেডিও অনুষ্ঠান ‘দ্য ল্যারি কিং শো’ এর মাধ্যমে কিং খ্যাতিমান হয়ে ওঠেন।

এরপর ১৯৮৫ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত সিএনএন এ ‘ল্যারি কিং লাইভ’ অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করেন তিনি।

সে সময় তিনি রাজনীতিক, ক্রীড়াবিদ, বিনোদন ব্যক্তিত্বসহ বহু অতিথির সাক্ষাৎকার নেন। ২০ বছরের বেশি সময় ধরে ইউএসএ টুডেতে কলামও লিখেছেন তিনি।

সম্প্রতি কিং হুলু ও রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম আরটিতে ‘ল্যারি কিং নাও’ নামে আরেকটি অনুষ্ঠানের উপস্থাপক হয়েছিলেন।

৬৩ বছরের পেশাগত জীবনে রেডিও, টেলিভিশন ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে হাজার হাজার সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন তিনি। কর্মজীবনে দুটি পিবডি ও একটি অ্যামি পুরস্কারসহ বহু প্রশংসা অর্জন করেন কিং।

‘সেলেব্রিটি’দের সাক্ষাৎকার নিতে নিতে ও তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে করতে এক পর্যায়ে ল্যারি কিং নিজেই ‘সেলেব্রিটি’ হয়ে ওঠেন।

দীর্ঘ কর্মজীবনে প্রখ্যাত এই টিভি হোস্ট ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও ফুসফুসের ক্যান্সারসহ বহু ধরনের শারীরিক সমস্যায় ভুগেছেন।

গত বছর তার পাঁচ সন্তানের মধ্যে দুজন পরপর মারা যান। তাদের মধ্যে একজন হৃদরোগে ও অন্যজন ফুসফুসের ক্যান্সারে ভুগে মারা যান।

কিং ১৯৮৮ সালে ‘ল্যারি কিং কার্ডিয়াক ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠা করেন। এই দাতব্য প্রতিষ্ঠান স্বল্প আয়ের লোকজন ও যাদের মেডিকেল ইন্স্যুরেন্স নেই তাদের হৃদরোগজনিত চিকিৎসার খরচ যুগিয়ে থাকে।